নরসিংদীতে আ.লীগ-বিএনপি টেঁটাযুদ্ধে আহত ৩০

নরসিংদীর রায়পুরায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধে ৩০জন আহত হয়েছেন।
রোববার বেলা ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিএনপির সমর্থক বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ও আওয়ামী লীগ সমর্থক জাবেদ মাস্টার গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ চলে। এ সময় প্রায় ১০/১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে হলেন- বিএনপির সমর্থক রমজান আলী (২৮), রফিকুল ইসলাম (২৬), হান্নান (১৮), কাওসার (১৮), আবু হানিফ (৩২), আলী আকবর (৩০) ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আমির হোসেন (৩২),ফজলুল হক (৬৫) ও শাহা জালাল (২৪)।
তাদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন বে-সরকারী ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এছাড়া পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পরদিন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হন। বহু ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একটি সালিস হয়। সালিসে উভয় পক্ষকে দায়ী করে মাত্র ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হলেও নামমাত্র জরিমানা কোনো পক্ষই মেনে নিতে পারেনি। এরই জের ধরে রোববার টেঁটাযুদ্ধ হয়।
বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের চরমেঘনা,চান্দেরকান্দী, ছোবানপুর, বটতলীকান্দী, কান্দাপাড়া, দিঘলিয়াকান্দী, বালুয়াকান্দীসহ ৭ গ্রামের প্রায় ৭/৮ হাজার লোক টেঁটা, বল্লম, দা, লাঠি, রামদাসহ দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ এবং নরসিংদী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।



মন্তব্য চালু নেই