নবীযুগে মুসলিম নারীরা যে বিশেষ পোশাক ব্যবহার করতেন এবং কেন করতেন?

নবীযুগে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির ইহুদী ও মুনাফিক ছিলো রাস্তাঘাটে যারা নারীদের উত্যক্ত করে বেড়াতো। অনেক সময় সতী সাধ্বী নারীরাও তাদের উত্যক্তের শিকার হতো। পরে রাসুল সা. তাদেরকে দুপাট্টায় ভালোভাবে ঢেকে বের হতে বলেছেন। যাতে অন্যদের থেকে তারা পৃথক হয়ে যায়। এরপরও যদি কেউ তাদেরকে বিরক্ত করে তাদের ব্যাপারে আল্লাহপাক বলেন,

لَئِنْ لَمْ يَنْتَهِ الْمُنَافِقُوْنَ وَالَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَرَضٌ وَالْمُرْجِفُوْنَ فِيْ الْمَدِيْنَةِ لَنُغْرِيَنَّكَ بِهِمْ ثُمَّ لاَ يُجَاوِرُوْنَكَ فِيْهَا اِلاَّ قَلِيْلاً # الاحزاب- ٦۰

‘মুনাফিকরা ও যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে এবং যারা শহরে অযথা মিথ্যা রটায় তারা যদি বিরত না হয় আমি অবশ্যই তোমাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রবল করে দিব। পরে অল্প ক’দিনই তারা তোমাদের প্রতিবেশীরূপে থাকতে পারবে।’ নারীদের বিশেষ পোশাক পরিধানের পরও যদি কোনো দুরাত্মা পাপী তাদের বিরক্ত করতো ক্ষমা করা হতো না। নবীযুগে এমনটাই হয়েছে, ফলে ইহুদীদের দেশান্তর করা হয়েছে।

মোটকথা পবিত্র কুরআন বলছে, প্রথমত নারীরা অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবে না। وقرن في بيوتك ‘তোমরা তোমাদের ঘরে অবস্থান করো।’ বলে এদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাসুল সা. বলেন,

ان المرأة عورة فاذا اخرجت استشرفها الشيطان واقرب ما تكون بروحة ربها وهي قعر بيته ا# ابن كثير

‘মহিলারা আপাদমস্তক পর্দা। তাদের কেউ যখন বের হয় শয়তান উঁকি মেরে দেখে। ঘরের নির্জন কোণই হলো তাদের জন্য কল্যাণকর জায়গা।

মূল– মাওলানা জফিরুদ্দিন
অনুবাদ- মাওলানা মিরাজ রহমান



মন্তব্য চালু নেই