নবম শ্রেণির বর, ষষ্ঠ শ্রেণির কনে : আয়োজন করে হচ্ছে বিয়ে
বর আজিজুল ইসলাম নবম শ্রেণির ছাত্র। কনে মিছিরন নেছা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সব আয়োজন শেষ। সোমবার রাতে তাদের বিয়ে।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের রুইজানি গ্রামে কনের বাবার বাড়িতে চলছে বিয়ের আয়োজন। তারা দুইজনই সদরের বীরেন শিকদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, সদরের পূর্বনারায়ণপুর গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে আজিজুল ইসলাম (১৩) ও পার্শবর্তী রুইজানি গ্রামের তোজাম মোল্যার মেয়ে মিছিরন নেছা (১১) সদরের সদরের বীরেন শিকদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই স্কুলে পড়ার সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শুক্রবার তারা গোপনে বিয়ে করার জন্য নিরুদ্দেশ হয়।
ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য বাবা ইদ্রিস শেখ পুলিশের সহযোগিতা চান। পুলিশ গত রোববার তাদের খুঁজে বের করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিয়ে না দিয়ে তারা আবার পড়ালেখায় ফিরবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পরে থানা থেকে বের হয়ে দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মিলে তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় রুইজানি গ্রামের তোজাম মোল্যার বাড়ি তার মেয়ে মিছিরন নেছার বাল্যবিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। রাতে পুর্বনারায়ণপুর থেকে বরযাত্রী আসবে। তারা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কনে নিয়ে বাড়ি ফিরবে।
এ বিষয়ে হবু বর আজিজুলের বাবা ইদ্রিস শেখ ও কনে মিছিরনের বাবা তোজাম মোল্যা বিয়ের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মহম্মদপুর থানার ওসি আতিয়ার শেখ জানান, বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন। তাদের পরিবার ছেলে ও মেয়েকে গোপন করে রেখেছেন। সবাই চাপাচাপি করায় গোপনে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বীরেন শিকদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, তার স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করার জন্য তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি তারা শুনেছেন। বাল্যবিয়ে বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ছবি প্রতীকী
মন্তব্য চালু নেই