নববধূরূপী এক নারীর ব্যক্তিগত অপ্রকাশিত কষ্ট গুলো !

বিয়ের মাধ্যমে একজন নারীর জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। নারীদের একদম নতুন কিছু মানুষ ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। যা তাদের জীবনে হাজারও সুখের অনুভূতি নিয়ে আসে, সেই সঙ্গে জন্ম দেয় কিছু চাপা ক্ষোভ বা দু:খবোধের। এই অনুভূতি সাধারণত বিয়ের পর বেশিরভাগ মেয়েই অনুভব করেন। এর কারণ কি হতে পারে? সবকিছুকে আগের সময়ের সঙ্গে তুলনা করা? নাকি বিয়ের আগের জীবন ভালো ছিল এমনটা ভাবা? তেমন কিছু কষ্টের কারণ জেনে নিন-

বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন : বিয়ের পর ধীরে ধীরে বন্ধুদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। হয়ত যোগাযোগ না থাকার কারণে বন্ধুর তালিকা থেকে এক সময় তারা আপনাকে ডিলিটও করে দিতে পারে। তাদের বিচ্ছেদ আপনার মন খারাপ করবে— এটাই স্বাভাবিক। আর এর কারণ যদি বিবাহিত জীবন হয়, তখন নিঃসন্দেহে আপনার মধ্যে অপরাধবোধের জন্ম নিবে।

নিজেকে হারিয়ে ফেলা : বিয়ে মানেই নতুন কিছু পরিবর্তন ও সমঝোতা। কিন্তু এটা যদি সব সময় একপক্ষকেই করতে হয় তাহলে নিঃসন্দেহে মনোমলিন্য ঘটবে। তাই অন্য পক্ষকেও ছাড় দেওয়া ও মানিয়ে চলার অভ্যাস করতে হবে।

ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ : ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলে যে কারোই মাথা গরম হয়। অথচ বিয়ের পরই এ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় বেশীরভাগ মেয়েদেরই। সবকিছু নিজের মতামতের ওপর চলে না। বিশেষ করে বড় কোনো সিদ্ধান্ত; যেমন- দেশের বাইরে যাওয়া কিংবা দামি কোনো জিনিস কেনা। আর যৌথ পরিবার হলে তো উঠতে বসতে বাসার সবার অনুমতি নিয়েই চলতে হয়।

জীবনটাকে আরও উপভোগ : বিয়ের পর মেয়েদের জীবনের সকল ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসে। যে কোনো বিষয়ে সবার আগে পরিবারের কথা চিন্তা করতে হয়। এমনকি জীবনটাকে একটু নিজের মতো করে উপভোগ করার পরিকল্পনা করলেও দায়িত্ব-কর্তব্যের ভারে তা হয়ে ওঠে না।

সাবেক প্রেমিককে দ্বিতীয় সুযোগ : বিবাহিত জীবনের ঝুট-ঝামেলা আপনাকে পুরনো প্রেম মনে করিয়ে দেবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনি পুরাতন প্রেমিকের সঙ্গে স্বামীর তুলনা করবেন এবং মনে মনে ভাববেন তাকে আর একটা চান্স দিলেই হয়তো ভাল হতো। কিন্তু এমন ভাবনাকে কখনোই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না, মনে রাখবেন এটা আপনার দাম্পত্য সুখ চিরতরে নষ্ট করে দিতে পারে।

তাড়াতাড়ি মা হওয়া : আমাদের দেশে সন্তান নেওয়াটাও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। বিবাহিত দম্পতি নতুন অতিথির আগমন ঘটাবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু অন্যের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে নয়। বরং নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে সন্তান নেওয়া উচিত। হতে পারে বিয়ের পর আপনি আগে নিজের ক্যারিয়ার গোছানোর পরিকল্পনা করে রেখেছেন কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরে আসার স্বপ্ন দেখছেন। এ সময় সন্তান নিলে এ সব চিন্তাকে বিদায় জানাতে হবে।

যাই হোক, বিয়ের পর আপনার মনে জাগা এ সব অভিযোগ ক্ষণিকের। কিন্তু আপনার প্রতি সঙ্গীর ভালবাসা ক্ষণিকের নয়। তার ভালবাসাই সব অভিযোগ ভুলে যেতে সাহায্য করবে। তাই এ সব অভিযোগ ঝেড়ে ফেলুন। এগিয়ে যান সামনের দিকে। সেই দিনগুলো হবে শুধুই আপনাদের। এতে আপনিও ভালো থাকবেন অন্যরাও।



মন্তব্য চালু নেই