নবপরিণীতা স্ত্রীর মন পেতে যা যা করতে পারেন আপনি

ছেলেরা বিয়ের আগে মেয়ে পটানোতে ওস্তাদ হলেও বিয়ের পর বৌ পটাতে গিয়ে তারা বেশ সমস্যাতেই পড়েন। আর সেটা যদি হয়ে থাকে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ সেক্ষেত্রে কোনো কথাই নেই। পুরুষের কাছে নারীর মন হচ্ছে আকাশের রঙ এর মত। কখন বৃষ্টি, কখন রোদ্দুর আর কখন যে মেঘের ঘনঘটা তা বোঝা বড় কষ্টের। তবে পুরুষেরা যদি কিছু বিষয় মেনে চলেন তাহলে সদ্য বিয়ে করা স্ত্রীর ভালোবাসা ও মনযোগ পাওয়া কোনো ব্যাপারই না। আজ জেনে নিন কীভাবে প্রেমে ফেলবেন আপনার বিয়ে করা বউকে।

১. চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন :
প্রথমত স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় সবসময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। কথা বলার সময় ভুলেও এদিক সেদিক তাকাবেন না। এতে করে নববিবাহিত স্ত্রীর চোখের ভাষা খুব সহজেই আপনার আয়ত্বে আসবে। আপনি বুঝতে পারবেন আপনার স্ত্রী কী চাইছেন আর কী চাইছেন না।

২. পরিপাটি থাকুন :
নিজেকে সবসময় পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন রাখুন। প্রয়োজনে ব্র্যান্ডের পারফিউম ব্যবহার করুন। নারীরা সব সময় তার সঙ্গীকে পরিপাটি দেখতে ভালবাসেন।

৩. কাজে সহায়তা :
স্ত্রীর বিভিন্ন কাজে সহায়তা করুন। মেয়েরা সব সময় সহযোগীদের প্রতি আকৃষ্ট হন। নতুন বৌ হয়তবা নতুন
পরিবেশে অনেক কিছু করতেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। আপনি এতে আপনার স্ত্রীকে সহায়তা করতে পারেন। এতে করে স্ত্রী আপনার প্রতি কিছুটা হলেও আসক্ত হবেন।

৪. স্ত্রীর বন্ধুদের আপন করে নিন :
স্ত্রীর বন্ধুদের প্রতি সামাজিক হোন। তাদের আপন করে নিন। বন্ধুদের সাথে অনেক কথা বলুন। মেয়েরা সাধারণত সামাজিক ও মিশুক প্রকৃতির ছেলের বেশি পছন্দ করেন।

৫. ফোনে কথা বলবেন না :
মনের ভুলেও একসাথে থাকা অবস্থায় অন্য কারো সাথে ফোনে কথা বলবেন না । যতটা সম্ভব
এটা পরিহার করার চেষ্টা করুন। এছাড়া ফোনে কথা বলার সময় বোঝাতে চেষ্টা করুন আপনি তার প্রতি মনোযোগী। তার প্রতি আপনার পূর্ণ আকর্ষণ রয়েছে।

৬. আগ্রহ প্রকাশ করুন :
স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করুন। তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করুন, বিশেষত তার সম্পর্কে। মেয়েরা সব সময় তার ব্যাপারে আলোচনা করতে পছন্দ করেন। যেমন তার ভাল লাগা, প্রিয় জিনিস ইত্যাদি।

৭. গুরুত্ব দিন :
আপনি আপনার স্ত্রীকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিন। ধরুন কোথাও প্রবেশের সময় আগে দরজা খুলে তাকে স্বাগত জানান। এ বিষয়টি নারীদের ভীষণ প্রিয়। এছাড়া অন্যান্য বিষয়েও তার মতামতকে গুরুত্ব দিন।

৮. সৌন্দর্যের প্রশংসা করুন :
সবসময় তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করুন। যেমন- তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। পোশাকটিতে তোমাকে বেশ ভালো মানিয়েছে ইত্যাদি। এতে নারীরা অনেক খুশি হয়।

৯. পরামর্শ নিন :
ধরুন আপনি কোনো সমস্যায় পড়েছেন। এক্ষেত্রে স্ত্রীর কাছ থেকে পরামর্শ নিন। যেমন- কোনো কাজ শুরু করার আগে মতামত চাওয়া। এতে সে ভাববে আপনি তাকে গুরুত্ব দেন।

১০. ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন :
স্ত্রীর ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন। যেমন তোমাকে হাসিখুশি মনে হয়। তোমার সব কাজই ভালো হয়। তুমি অনেক পজিটিভ ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আপনার স্ত্রীও আপনার পজিটিভ দিকগুলোকে অনেক ভালোবাসবে এবং আপনাকেও অনেক বেশি ভালোবাসবে



মন্তব্য চালু নেই