নদীতে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ : ভোগান্তিতে কৃষকরা
মোঃ রাজিবুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহী চিত্রা নদীর বিভিন্নস্থানে এপার ওপার অবৈধ বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে রাখছে কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা। ফলে ধান চাষের বীজতলা তৈরীতে বিপাকে পড়েছে তিতুদহ ইউনিয়নের ৯ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। জানা গেছে, প্রতি বছর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহের খাড়াগোদা ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর কৃষকেরা ঐতিহ্যবাহী চিত্রা নদীর গাঁ ঘেষে তৈরি করে ধান চাষের বীজতলা। কিন্তু এ বছর তা আর সম্ভব হচ্ছে না কিছু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য। তারা নদীতে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখছে। ফলে বীজতলার জমিতে বেঁধে থাকছে পানি। ধানের বীজ বোপনের সময় চলে গেলেও এখনও বীজতলার জমিই প্রস্তুতি করতে পারেনি খাড়াগোদার কৃষকেরা। তাদের অভিযোগ, নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দেওয়ার কারনে বীজ তলার জমিতে পানি বেঁধে আছে। ঠিকভাবে পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। প্রতি বছর এ নদীর গাঁ ঘেষে তিতুদহের কালুপোল, খেজুরতলা, গোষ্টবিহার, জামালপুর, খাড়াগোদা, গড়াইটুপি, বিত্তরদাড়ি, মোহাম্মদপুর, তেঘরী, কলাগাছিসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের কৃষকেরা ধান চাষের বীজতলা তৈরি করে থাকেন। কিন্তু এ বছর পানি বেঁধে থাকার কারণে কৃষকেরা এখন তৈরি করতে পারছে না বীজতলা। এলাকাবাসী সমীকরণকে জানান, আমরা গরীব কৃষক। জমির উপরই আমাদের ভরসা। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। এ চাষ ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকার আর কোনো উপায় নাই। কিন্তু এবছর এখনও আমরা বীজতলাই তৈরি করতে পারলাম না পানি বেঁধে থাকার কারণে। আর এ পানি বেঁধে আছে শুধু ঐ প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীদের অবৈধ বাঁধের কারণে। এসব দেখার যেনো কেউ নেই। চাষ করতে না পারলে আমরা কি খাবো? এ দিকে আবার বীজ বোপনের সময় চলে যাচ্ছে। ধান চারা রোপনের সময় চলে আসছে। যদি এই অবৈধ বাঁধ ভেঙে দেওয়া যায় তাহলে দ্রুত পানি কমে যাবে। আমরা বীজতলা তৈরি করে ধান বীজ বোপন করতে পারবো। সমীকরণের মাধ্যমে দ্রুত সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করছে এলাকাবাসী।
মন্তব্য চালু নেই