নতুন জামাইকে আগুনে পোড়ালো শ্বশুরবাড়ির লোকজন
ভোলার চরফ্যাশনে নতুন জামাইকে বাসায় দাওয়াত করে এনে হাত-পা বেঁধে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এসময় তাকে বাঁচাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথারি কুপিয়ে আহত করে তারা। রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ মেহেদী হাসান রনিকে (২৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নবীর ফকিরকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান রনি পেশায় মোবাইল ব্যবসায়ী। চরফ্যাশনের হাজিরহাট গ্রামের মাইনুদ্দিন মাস্টারের ছেলে তিনি। দেড় বছর আগে আামিনা বেগম নামে এক তরুণীর সঙ্গে রনির সম্পর্ক হয়। সম্প্রতি তারা গোপনে বিয়ে করে। কিন্তু মেয়ের পরিবার বিয়ে মেনে না নেয়ায় রনি তার নতুন বউকে নিয়ে নিজেদের বাড়িতে উঠে।
সপ্তাহ খানেক আগে মেয়ের পরিবার রনিকে ফোন করে দাওয়াত দেয়। ফোনে রনির মামা শ্বশুর জানায়, তারা বিয়ে মেনে নিয়েছে। মামা শ্বশুরের আশ্বাসে পরে বউকে নিয়ে রনি শ্বশুরবাড়ি যায়।
গতকাল রবিবার রাতে রনির মামা শ্বশুর শামীম তার হাত-পা বাঁধে এবং শ্যালক খোকন গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় রনির চিৎকারে স্থানীয় নবীর ফকির এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে শামীম ও খোকন।
খবর পেয়ে রনির বাবা মা উদ্ধার করে তাকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, রনির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৪৮ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এদিকে আহত নবীর ফকিরকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে ভিকটিমের পরিবার।
মন্তব্য চালু নেই