নতুন ছবি নিয়ে বিপদে শাহরুখ খান!
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ ঘোরালো বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের ধারণা, রাজনৈতিক ডামাডোলে দেশজুড়ে শাহরুখকে বয়কটের ডাকও তুলতে পারে জাতীয়তাবাদী দলগুলি।
শাহরুখ খানের পরবর্তী ছবি ‘রইস’-এর জন্য অনেকদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন শাহরুখ ভক্তরা। ছবিটি তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন হল। কিন্তু অন্যান্য বড় ব্যানারের ছবির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এড়াতে গিয়ে ‘রইস’-এর রিলিজের তারিখ ক্রমাগত পিছিয়েই চলেছেন শাহরুখ।
হৃতিকের ‘মহেঞ্জো দারো’, অক্ষয়ের ‘রুস্তম’, কিংবা রণবীর-অনুষ্কার ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’, আর আমির খানের ‘দঙ্গল’-এর সঙ্গে বাণিজ্যিক সংঘাত এড়িয়ে এবার ‘রইস’-এর রিলিজের তারিখ স্থির হয়েছে ২০১৭-র ২৬ জানুয়ারি। আর তাতেই অশনি সংকেত দেখছেন বলিউড বিশেষজ্ঞরা।
২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। জাতীয়তাবাদী আবেগ ওই সময় থাকে তুঙ্গে। তাছাড়া বিগত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বিবাদের আবহে এমনিতেই জোয়ার এসেছে দেশাত্মবোধে। সেই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার প্রচেষ্টাও। সেরকম একটা সময়েই একেবারে দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘রইস’ রিলিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব একটা বিবেচনার কাজ করেননি শাহরুখ, এমনটাই মনে করছেন বলিউড বিশেষজ্ঞরা।
এমনটা মনে করার কারণও রয়েছে। বলিউডে পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজ করা নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে উঠেছিল তখন প্রসঙ্গক্রমে এসেছিল ‘রইস’-এর নামও। কারণ এই ছবির নায়িকা পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান। সেই নিয়ে সেই সময়ে আবার সমস্যা দেখা দেবে না তো? আশঙ্কায় বলিউড বিশেষজ্ঞরা।
আশঙ্কার অন্য কারণও রয়েছে। ‘রইস’ ছবিটি একজন মুসলমান আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনকে নিয়ে। ছবির প্রধান অভিনেতারাও সকলে মুসলমান। অনেকেরই বক্তব্য, মুসলমান ডনদের নিয়ে একসময়ে বলিউডে বহু হিট সিনেমা তৈরি হয়ে থাকলেও এখন যুগ পাল্টেছে। এখন আর মুসলমান ডনদের নিয়ে আগ্রহ নেই ভারতীয় দর্শকদের। তাছাড়া ছবিটি তৈরি হয়েছে অবৈধ কাজের কারবারি আবদুল লতিফের জীবনের আদলে।
আবদুলের বিরুদ্ধে বহু খুন এবং অপহরণের অভিযোগ তো রয়েছেই, পাশাপাশি ১৯৯৩-এর মুম্বই বোমা বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত সে। তাকে ‘নায়ক’ বানিয়ে তৈরি হওয়া সিনেমা এরকম উত্তপ্ত দেশপ্রেমের আবহে রিলিজ করলে সমস্যা হতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে ফিল্মের প্রোডাকশন হাউজের অন্দরমহলেও। এবেলা।
মন্তব্য চালু নেই