নতুন গভর্নরের প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা
বিনিয়োগ বাড়ানো কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন ও মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাস্তবমুখী সতর্ক সংযত ও সংকুলানমূলক নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
গত মার্চে গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা। এর আগে সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি (২০১৫-১৬) অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিলেন সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
গভর্নর ফজলে কবির ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতিতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রাক্কলিত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি সমন্বয় রেখে ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি খাতে ঋণ জোগানের প্রাক্কলন বাড়ানো হলেও ব্যাপক মুদ্রা জোগানের লক্ষ্যমাত্রা একই রকম ধরা হয়েছে।
নতুন এ মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সরকারি খাতে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
গত মুদ্রানীতিতে জুন নাগাদ বেসরকারি খাতে বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে এরই মধ্যে গত মে পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। জুনে এটি আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত মুদ্রানীতিতে ব্যাপক মুদ্রার জোগানের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বিপরীতে মে নাগাদ অর্জিত হয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। নতুন ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ব্যাপক মুদ্রার জোগানের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
এদিকে, সদ্যসমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতির হার নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশে। যেখানে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিবছর দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে। ছয় মাস অন্তর এই মুদ্রানীতি একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে। এর মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
গভর্নর ফজলে কবিরের প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণার অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, এস কে সুর চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই