‘নতুন ইসি গ্রহণযোগ্য হয়েছে’

নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিষয়ে আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করলেও, দলের নেতারা দাবি করেছেন নতুন ইসি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

দলটির নেতারা বলছেন, নতুন ইসি সাংবিধানিকভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ তাদের দায়িত্ব পালনে গ্রহণযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।

গতকাল সোমবার রাতে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নামের তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করেন। এর আগে সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে দেন। নতুন নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রাক্তন সচিব কে এম নুরুল হুদা। কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, রাজশাহীর অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, প্রাক্তন সচিব মো. রফিকুল ইসলাম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

ইসি গঠনের পর আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের ওই নেতারা নতুন নির্বাচন কমিশন যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পারে সে জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি ইসিকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

নতুন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ওপর ইসি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া আছে। সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। আমার বিশ্বাস এ ইসি ২০১৯ সালে জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে। সে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেকে মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতায় কর্মজীবন শেষ করেছেন। সেই বিবেচনায় আমি মনে করি এই ইসি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে।

আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতি আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধানের অভিভাবক। তিনি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দূরদৃষ্টি, বুদ্ধি ও বিবেচনার মাধ্যমে নতুন ইসি গঠন করেছেন। আমরা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি জাতিকে যে ইসি উপহার দিয়েছেন তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপতির প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

নতুন ইসি গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সার্চ কমিটি গঠনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। তিনি গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু করেন। রাষ্ট্রপতি গত ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দেয় আওয়ামী লীগ।



মন্তব্য চালু নেই