নগ্ন হলেই মিলবে কোম্পানির ঋণ!

এই পৃথিবীটা আজব বটে! কত-শত আজব সব ঘটনা ঘটে এই দুনিয়ায়, তার হিসেব রাখে কয়জনা। সম্প্রতি আজব এক শর্তে নারীদের ঋণ দিচ্ছে একটি চীনা কোম্পানি। কোম্পানির শর্ত হচ্ছে, নারীদের নগ্ন ছবি জমা দিলেই মিলবে ঋণ!

হ্যাঁ, আজব ঋণ-ই বটে! ঋণ প্রাপ্তির শর্ত একটাই, ওই কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে ঋণগ্রহীতার নগ্ন সেলফি ও আসল নামসহ সরকারি পরিচয়পত্র। নগ্ন ছবি থাকবে বন্ধক হিসেবে। আর ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে, ভাইরাল করে দেয়া হবে ওই নগ্ন সেলফি। কেবল এই শর্তে শুধু নারীদের ঋণ দিচ্ছে চিনের একটি ফাইনান্স কোম্পানি।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস এক খবরে জানিয়েছে, চিনের ওই কোম্পানির নাম জিয়েদাইবাও। এটা আদতে ক্রেতা ও বিক্রেতার একটি মঞ্চ। অনলাইনে ঋণের জন্য এখানে আবেদন জানাতে হয়। ঋণ নিতে একজন গ্যারান্টার বা জামিনদার লাগবে। কিন্তু সেটা না থাকলেও সমস্যা নেই। তরুণীরা নিজের নগ্ন ছবি তুলে পাঠালেই সঙ্গে সঙ্গে ঋণ বরাদ্দ করা হয়।

ঋণগ্রহণকারীকে তার আত্মীয়-স্বজনদের ঠিকানা, ফোন নম্বর দিতে হয়। ঋণদানকারী বলে দেয়, যদি ঋণ শোধ করতে না পারেন তাহলে ওই ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হবে পরিজনদের কাছে।

শর্ত সত্ত্বেও সে দেশে হাজার হাজার নারী নিজের নগ্ন ছবি জমা দিয়ে ঋণ নিচ্ছেন। তবে এ ব্যবসা চলছে অনলাইনের মাধ্যমে।

সম্প্রতি এ রকম হাজার খানেক নগ্ন ছবি ফাঁস হতেই হইচই পড়ে গেছে। ১০ জিবির নগ্ন ছবির একটি ফাইল ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে গেছে। তাতে হাজার তরুণীর ছবি রয়েছে, যারা পরিচয়পত্র হাতে নগ্ন সেলফি তুলে পাঠিয়েছেন। তাদের অধিকাংশের বয়স ১৯ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া।

তরুণীদের নগ্ন ছবিগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে। কোনটাতে লেখা ‘যোগাযোগের নম্বর আছে’, কোনো ছবির নাম শুধুই ‘সুন্দর ’। কোনও ছবির নামে লেখা হয়েছে- ‘এই তরুণী ঋণ শোধ করতে যৌন সম্পর্কেও রাজি।’

তবে এই নগ্ন ছবিগুলো কে ছবি ফাঁস করে দিল তা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। ২০১৫ সালে ঋণদানকারী সংস্থাটি জে ডি ক্যাপিটাল নামে ওয়েবসাইট চালু করে। এই অনলাইনে আবেদন করার সময় নিজের নাম গোপন রাখলেও চলে, কিন্তু টাকা লেনদেনের সময় পরিচয় জানাতেই হবে। চটজলদি যাদের টাকা দরকার, তারা ঝুঁকছেন এ ধরনের ওয়েবসাইটের দিকে। অনেক ক্ষেত্রে ঋণের উপর সুদের হার ৩০ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে, তাও আবেদনের কমতি নেই।

ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর রীতিমতো চিন্তিত চিন প্রশাসন। কিভাবে ইন্টারনেটের এই ব্যবহার বন্ধ করা যায়, তার জন্য তৎপর প্রশাসন।



মন্তব্য চালু নেই