নগ্নতা ও যৌনতায় কঠোর অবস্থানে ফেসবুক

ফেসবুক সবার নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। এখন থেকে নগ্নতার বিষয়ে ফেসবুক অনেক বেশি কঠোর হবে। নত্নু গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি কোনো ছবি ব্যবহার না করে শুধু যৌনকর্মের বা যৌনকর্মের কোনো পর্যায়ের বর্ণনা দেয়, তা-ও ‘নগ্নতা`-র পর্যায়ে পড়বে।

নগ্ন দেহ, যৌনাঙ্গ বা উন্মুক্ত নিতম্বের ছবির বিরুদ্ধে ফেসবুক আগে থেকেই কঠোর। এমন ছবি দিলে ফেসবুক সরিয়ে দেয়। তবে বোঁটা দেখা যায় না এমন স্তনের ছবি কিংবা মা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন ছবির ক্ষেত্রে সমস্যা নেই।

পর্নো ছবি দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে যৌন সহিংসতা বা যৌন অপরাধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা যাবে না। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নিয়ে কোনো যৌন উত্তেজক ছবি প্রকাশ করাও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় ঘোরতর অন্যায়।

অন্যদিকে ফেসবুকে যারা ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়ায়, যারা উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে, যারা মনে করে ফেসবুকে যা খুশি লেখা বা করা যায়, তাদের সতর্ক হওয়ার দিন এসেছে। এমন কিছু দেখলেই ব্যবস্থা নেবে ফেসবুক।

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা, হত্যার হুমকি দেয়া, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে বিশেষ কোনো কারণে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা, শান্তি বিনষ্ট করা কিংবা সহিংসতা ছড়ানোর মতো বক্তব্য প্রচার করা- এমন তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর হতে চলেছে ফেসবুক।

কাউকে আঘাত করে বা আঘাত করার হুমকি দিয়ে কিছু লেখা, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে হেয়প্রতিপন্ন করতে কোনো ‘পেজ` খোলা যাবে না। ছবি পোস্ট করে কোনো ব্যক্তিকে খাটো করা বা ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করা যাবেনা। একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য প্রচার করে কারো ভাবমূর্ত্তি ক্ষ্ন্নু করার চেষ্টা করা যাবে না।

গত সোমবার এক খোলা চিঠিতে এ খবর জানিয়েছেন, ফেসবুকের গ্লোবাল পলিসি ম্যানেজমেন্ট-এর প্রধান মনিকা বিকার্ট এবং ফেসবুকের ডেপুটি জেনারেল কাউন্সেল ক্রিস জন্ডারবি। চিঠিতে জানানো হয়, ফেসবুক সবার নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে।

গতবছর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিল, সবাইকে প্রকৃত এবং আইন অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নাম ব্যবহার করতে হবে। যারা ছদ্মনাম, কোনো সংস্থার নাম বা অন্য কোনো ধরণের নাম ব্যবহার করছেন, তারা প্রকৃত এবং আইনত গ্রহণযোগ্য নামে আত্মপ্রকাশ না করলে অ্যাকাউন্ট ‘ডিঅ্যাক্টিভেট` করা হবে। এ নিয়মের কারণে পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত কিছু প্রতিষ্ঠান পড়েছিল সমস্যায়।

তারা আইনের আশ্রয় নেয়। ফেসবুক তাই ব্যবহারকারীর নামের বিষয়ে নতুন করে ভেবে নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছে। সোমবার প্রকাশিত নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, এখন থেকে সবাইকে ‘প্রামাণিক বা অকৃত্রিম নাম` ব্যবহার করতে হবে। নামের আইনত গ্রহনযোগ্যতা এখন আর অপরিহার্য নয়।

জঙ্গি কিংবা অপরাধকর্মে জড়িত সংগঠনের সমর্থকরাও ফেসবুকে নিষিদ্ধ। আল-কায়েদা, ইসলামিক স্টেট-এর মতো ইসলামি জঙ্গি সংগঠন, কিংবা অপরাধকর্মে জড়িত যে কোনো সংগঠনই ফেসবুকে নিষিদ্ধ। এখন থেকে শুধু এ ধরণের জঙ্গি এবং সন্ত্রাসি সংগঠনই নয়, তাদের যারা সমর্থন করে তারাও নিষিদ্ধ। আল-কায়েদা, ইসলামিক স্টেট বা এমন কোনো ইসলামি জঙ্গি সংগঠন অথবা কোনো সন্ত্রাসি সংগঠনকে সমর্থন করে কিছু লিখলে যে লিখবে তাকে ‘রিমুভ` করবে ফেসবুক।

তথ্যসূত্র : ডয়চে ভেলে



মন্তব্য চালু নেই