নওগাঁ বিআরটিএ অফিসে সু-দক্ষ অফিসার না থাকায় ভোগান্তি

নওগাঁ বিআরটিএ অফিস জনবল সহ সু-দক্ষ অফিসার না থাকায় রেজিষ্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। নওগাঁ জেলা সহ ১১ টি উপজেলার সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানী শিকার হতে হয় এরা বিআরটিএ অফিসারদের কছে জিম্মি। অপরদিকে অভিযোগ উঠেছে লার্নার/ লাইসেন্স/ রেজিষ্ট্রেশন করতে আসা জনসাধারণ প্রতিনিয়ত ভোগান্তীর স্বিকার হচ্ছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান প্রতিটি লার্নারের জন্য ঘুষ বাবদ ২শত টাকা ফিটনেস বাবদ ২ হাজার নতুন রেজিষ্ট্রেশন বাবদ ৬ থেকে ১২ সালের পুরাতন ফাইল ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা ১২ থেকে ১৪ সালের পুরাতন ফাইল ১ থেকে ২ হাজার টাকা সুধু ১৫ সালোর ফাইল থেকে ৫ শত টাকা পযর্ন্ত ঘুষ দিতে হয় বিআরটিএ নওগাঁ সার্কেল সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) সুবীর কুমার সাহাকে।
অপরদিকে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত মোটরযান পরিদর্শক মো: মাহবুবার রহমান মোটর সাইকেল পরিদর্শন কালে মোটর সাইকেলের চেসিস নম্বর ভুয়া বলে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার মৃত নিজাম প্রাং এর ছেলে মো: লেবু প্রাং গত ২৩শে আগষ্ট ২০১০সালে মেসার্স হায়দার এন্টার প্রাইজ নজিপুর পত্নীতলা থেকে ১৩৫ সিসি বাজাজ ডিস্কভার মোটর সাইকেল ক্রয় করে বিআরটিএর
সকল প্রকার বিধি বিধান মোতাবেক গত ১৯ জানুয়ারী মোটর সাইকেলটি পরিদর্শন কালে মোটরযান পরিদর্শক মো: মাহবুবার রহমান জানান মোটর সাইকেলটির চেসিস ভুয়া। এ ব্যাপারে হায়দার এন্টার প্রাইজের সাথে কথা বললে তিনি জানান মোটরযান পরিদর্শক মো: মাহবুবার রহমানের চেসিস নম্বর দেখার দক্ষতাই নাই। তিনি আরো বলেন বিআরটিএ নওগাঁ সার্কেল সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) সুবীর কুমার সাহা টাকা ছাড়া আর কিছুই বোঝেনা।সুত্র জানায় সাধারণ জনগনের কাছে থেকে বিলম্বর কারণ দেখিয়ে ২ শত টাকার এফিডেভিট নেওয়া হচ্ছে। ডিলার সু-রুম এর কাছে থেকে শুধু ৫০ টাকার এফিডেভিট নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিআরটিএ নওগাঁ সার্কেল সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) সুবীর কুমার সাহার সাথে কথা বললে তিনি জানান বর্তমানে লার্নার কত গুলো পেনডিং আছে তার জানা নাই ,রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে আইন সৃংঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে। অভিযান শুরুর আগে দিনে ৯ থেকে ১০ টি আবেদন জমা পরতো অভিযান শুরুর পর থেকে দিনে ১শ টি বা তার অধিক জমা পরছে এতে করে কাজের চাপ ও বেড়ে গেছে।তিনি আরো জানান আগে হাতে লেখা ম্যানোয়াল লার্নার, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিষ্ট্রেশন সাটিফিকেট ছিল। আর এখন অনলাইনে ফরম পূরন করে লার্নার, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিষ্ট্রেশন করায়, ইন্টারনেটের ধীর গতি এবং কাজের তুলনায় জনবল অদক্ষ মোটরযান পরিদর্শক থাকায় রেজিষ্ট্রেশন করতে আসা মানুষেরচাপ বেশী হচ্ছে।সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) সুবীর কুমার সাহা জানান আমার অদক্ষতার কারনে আবেদিত নথিগুলোর যথাসময়ে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার প্রদান করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। সময়ও আগের তুলনায় বেশি লাগছে। এসব বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যহৃত আছে। তারা আশস্থ করেছেন এ বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করার হবে বলে জানিয়েছেন। নওগাঁর জনগনের চাহীদা পুরুনের জন্য জনবল, দক্ষ অফিসার সহ দ্রুতগ্রতির ইন্টারনেট পাওয়া গেলে মানুষদের আর ভোগান্তি পোহাতেহবে না। তিনি আরো জানান সকল প্রকার যানবাহনের চেসিস নম্বর পরিক্ষা করার কোন কম্পিউটার পাওয়া গেলে আমাদের পক্ষে ভালো হতো।কিছুদিন আগে ইত্তেফাক পত্রিকায় নওগাঁ বিআরটিএ দালাল চক্রের কাছে জিম্মি সিরোনাম টি আদও সত্য নয় তবে জনগন ও দালাল আমাদের কাছে জিম্মি আমাদের দালালের প্রয়োজন হয়না অফিসের ভিতরে দালাল থাকলে বাহীরের দালালের দরকার কি। তিনি আরো জানান বর্তমানে নওগাঁ বিআরটিএ অফিসে উচ্চমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর একজন এবং ম্যাকানিক্যাল এ্যাসিটেন্ট পদ শূন্য থাকায় সমস্যাটা।



মন্তব্য চালু নেই