ধোনি-কোহলির ছবি পোস্ট করে টুইট, বিতর্ক ঢাকার চেষ্টা বোর্ডের?

একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছেন। গায়ে জাতীয় পতাকা। একদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের এই ছবি পোস্ট করে দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও বিরাট কোহলির এই ছবি কী শুধুই ছবি? প্রশ্ন উঠেছে।

রবিবারই আইপিএলে স্পটফিক্সিং সংক্রান্ত ধোনি-বিরোধী টুইট  কোহলির টুইটার অ্যাকাউন্টের পেজে রি-টুইট করা হয়।ফেভারিটের তালিকাতেও তা রাখা হয়। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে।পরে অবশ্য ওই রি-টুইট ডিলিট করে দেওয়া হয়। এরইমধ্যে আইপিএল স্পটফিক্সিং বিতর্ক নিয়ে নীরবতা ভঙ্গ করেন ধোনি। জল্পনা ছড়ায়, ভারতীয় ড্রেসিংরুমে যে সব কিছু ঠিকঠাক নেই,  তা ঘটনাক্রম থেকে স্পষ্ট। তার একদিন পরেই বোর্ডের টুইট। ধোনি-কোহলির যুগলবন্দী। বিভিন্ন মহলের অনুমান, ড্রেসিংরুমে কোনও গণ্ডগোল নেই, এই বার্তা দিতেই টুইটারকে বেছে নিল বোর্ড।

বিশ্বকাপ শুরু হতে হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান। তার আগে টিম স্পিরিট যাতে অক্ষুন্ন থাকে তার জন্য সচেষ্ট বোর্ড। ওই টুইটারের মাধ্যমে সম্ভবত বোর্ড স্পষ্ট করতে চাইল, দলের মধ্যে কোনও টানাপোড়েন নেই।

বোর্ডের এক পদস্থ আধিকারিক অবশ্য বলেছেন, কোহলির টুইটার-কাণ্ডের সঙ্গে এই টুইটের কোনও সম্পর্ক নেই। দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে ধোনি-কোহলির ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এরমধ্যে অন্য কোনও গন্ধ খোঁজা ঠিক নয়।

বোর্ডের কর্তারা যতই অস্বীকার করুন, টুইটের সময়টা কিন্তু তাত্পর্য্যপূর্ণ। ধোনি-কোহলির বিরোধের খবর প্রায় নিয়মিতই সামনে আসছে। দুজনকে একজোট করতে বোর্ডকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই অবস্থায় সুখী পরিবারের ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই ওই টুইট বলে মনে করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই