ধৈর্য্যক্ষমতা এড়াবে নানা প্রতিকূলতা
জীবনের দায়িত্ব যখন কাঁধের ওপর পুরোপুরি বর্তে যায়, তখন নানা কাজে অস্থিরতার কারণ থাকে যথেষ্ট। প্রতিনিয়ত ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে চলতে হয়। বাসা, কর্মক্ষেত্র, আত্মীয় পরিজন সামলাতে কখনো কখনো মেজাজ উঠে যায় তুঙ্গে। অকারণে কিছু ঝামেলা তৈরি হতে পারে আবার আকাঙ্ক্ষার অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যায়। লক্ষ্যে পৌঁছতে নানা রকম প্রতিকূলতার ভেতর দিয়েই নিজেকে রাখা চাই ঠাণ্ডা। নইলে ঝামেলা বাধবে আরও বড় রকমের। তাই ধৈর্য্যক্ষমতা বাড়াতে অবলম্বন করতে পারেন কিছু সহজ উপায়-
সন্তুষ্ট থাকুন
আপনার যা অর্জন তাতে হয়তো পুরোপুরি সন্তুষ্ট হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ভাবুন তো অপর কেউ আপনার থেকেও বেশি বঞ্চিত কিনা? পাওয়ার সঙ্গে সব সময় আকাঙ্ক্ষার মাত্রা মিলে যাবে তা কিন্তু নয়। তাই আশাবাদী হোন, যা পেয়েছেন তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। আগে থেকেই হতাশ হলে শুধু খারাপ লাগা বাড়বে। কাজের উদ্যাম নষ্ট হবে। তার চেয়ে আপনার পাওয়া নিয়ে সন্তুষ্ট থেকে ভবিষ্যতে বড় পাওয়ার জন্য চেষ্টা করুন।
অস্থিরতার কারণ অনুসন্ধান
অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে মিশে আপনাকে দিয়েছে প্রতিটি মুহূর্তের অস্থিরতা। কিন্তু অস্থির হওয়ার আগে ভালোকরে একবার ভাবুন তো মেজাজ খারাপের প্রধান কারণ কি? যে কারণে আপনি রেগে আছেন তা কি সত্যিই রাগার মতো কারণ? রাগার কারণ থাকলেও সমাধানের অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। তাই কোনো একটা বিষয়ে অস্থিরতা কাজ করলে আগে কারণ অনুসন্ধান করুন। দেখবেন সমাধান সহজে মিলে যাবে।
মনকে বোঝান
অনেক অপেক্ষার পর পাওয়া সফলতার আনন্দ আসলেই অকৃত্রিম। এই আনন্দ টিকেও থাকে দীর্ঘক্ষণ। তাই অল্পতেই অস্থির না হয়ে মনকে বোঝান। অপেক্ষা করার অনুশীলন করুন। আপনার ব্যক্তিত্বকে সমৃদ্ধ করতে এই গুণের বিকল্প নেই।
পরিস্থিতি মানতে রাজি থাকুন
সব কাজে সফলতা আসবে তা কিন্তু নয়। আপনার চেয়ে যোগ্য লোকের সঙ্গেও প্রতিযোগীতা করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে যদি পরাজিত হন তবু মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। আক্ষেপে ফেটে না পড়ে ভবিষ্যতে ভালো করার জন্য প্রস্তুতি নিন আরও ভালো করে।
ভাবুন আরও একবার
যখন সব আশা ভেস্তে গেছে, অস্থির হয়ে উঠেছে মন- তখন বুক ভরে শ্বাস নিন। আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়ুন। এতে ধীরে ধীরে মন শান্ত হয়ে আসবে। ধৈর্য্যশক্তি ফিরে পাবেন। কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে ভালো করে আরও একবার ভাবার সময় পাবেন।
মন্তব্য চালু নেই