ধীরে ধীরে আমাদের বন্ধুত্ব হয়, তাসকিনের নিষেধাজ্ঞায় খবরটা শোনার পর খুব কেঁদেছিলাম

নায়িকা মিষ্টি জান্নাতের ভাষ্য আমার প্রিয় ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ। বছর দুয়েক আগে এক প্রোগ্রামে তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। তাসকিন সামনাসামনি আসতেই সেলফির আবদার করলাম। পাশ থেকে নায়ক নীরব টিপ্পনি কেটে বললেন, ‘তাসকিনের সঙ্গে ছবি তোলা যাবে না!’ কথাটা শুনে তাসকিন নিজে থেকেই বললেন, ‘আসো আসো সেলফি তুলি।’

ছবিটা ফেসবুকে ইনবক্স করেছিলাম তাসকিনকে। ধীরে ধীরে আমাদের বন্ধুত্ব হয়। এক সময় নিয়মিতই তাসকিনের ছবি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে শুভকামনা জানাতাম। এ নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায়ও পড়তে হয়েছে।

ওর জন্মদিনে ‘সুইট হার্ট’ লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। তারপর আর যায় কোথায়! অনলাইন পত্রিকায় নিউজের ছড়াছড়ি, ‘তাসকিনের প্রেম মিষ্টি জান্নাত’। আমি কিন্তু কথাটা মজা করে লিখেছিলাম।

এই খবর তাসকিনের বাবার কানেও গেল। তাসকিনকে বকা দিলেন তাঁর বাবা, ‘কিরে নায়িকার প্রেমে পড়েছিস শুনলাম!’পরে তাসকিন আমাকে বলেছিল, এত জনের সঙ্গে ছবি তুললাম নিউজ হয় না তোমার সঙ্গে ছবি তুলেই নিউজ হলো!

মানুষ হিসেবে তাসকিন খুবই সিম্পল। কথা কম বলে। মানসিকতা খুবই ভালো। ওর প্রাপ্তি আর ব্যর্থতাগুলো আমাকেও স্পর্শ করে। মাঝে ও যখন আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় খেলা থেকে বাদ পড়ল, খবরটা শোনার পর খুব কেঁদেছিলাম।-কালেরকন্ঠ



মন্তব্য চালু নেই