ধর্ষিতা ত্রিপুরা কিশোরীকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি
লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮ আগষ্ট চিকিৎসা নিতে এসে ৩ ধর্ষক কর্তৃক ধর্ষিত সুমি ত্রিপুরা কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষা করতে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আজ বুধবার রাত ৮টায় তাকে দেখতে ছুটে যান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, বান্দরবান সিভিল সার্জন অনুপ দেওয়ান প্রমূখ।
প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এ সময় কিছুটা সময় ধর্ষিত কিশোরীর সাথে কথা বলে তাকে সান্তনা দেন এবং তার অভিভাবকদের আশ্বস্থ করে বলেন, দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সিভিল সার্জন অনূপ দেওয়ান বলেন, ডাক্তারী পরীক্ষায় লামা হাসপাতালের অভিযুক্ত ২জন কর্মচারী জড়িত থাকা বিষয়ে নিশ্চিত হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সুমি ত্রিপুরা গত ১৭ আগষ্ট সোমবার লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে ১৮ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষিতা কিশোরী সে গজালিয়া গতিরাম ত্রিপুরা পাড়ার মেয়ে।
লামা থানা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় কিশোরীকে তার মা মারধর করায়, শারিরীক চিকিৎসার জন্য লামা হাসপাতালে ভর্তি হয়। একদিন চিকিৎসা শেষে ১৮ আগস্ট বেলা ১১ টায় তাকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সে হাসপাতালে কর্মচারীদের কাছে তার জখমি সনদ চাইলে হাসপাতালে স্টাফ নুর মোহাম্মদ (৩৮) ও শাহ আলম (৪২) অসৎত উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য নানা তালবাহানা করে তাকে রেখে দেয়।
এদিকে অপেক্ষা করতে করতে রাত হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল সংলগ্ন হাসপাতাল পাড়ার মিরাজ মাঝির ছেলে সেলিম (২৭), ১৮ আগষ্ট ২০১৫ইং রাত অনুমান সাড়ে ৭টার সময় মাতামুহুরী নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে ধর্ষন করে। ধর্ষিতা ত্রিপুরা কিশোরী আশ্রয়ের জন্য লামা হাসপাতালের আসলে কর্তব্যরত নার্স তাকে আশ্রয় দেয়। অতঃপর সুযোগ পেয়ে লামা হাসপাতালের কর্মচারী নুর মোহাম্মদ ও শাহ আলম উক্ত ভিকটিমকে ১৮ আগষ্ট ২০১৫ইং তারিখ রাত অনুমান ৮টা ১৫ মিনিটের সময় লামা উপজেলা হাসপাতালের অফিস সহকারীদের ডিউটির বিশ্রাম কক্ষে পালাক্রমে ধর্ষন করে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ লামা উপজেলার শাখার সভাপতি উইলিয়াম ত্রিপুরা বাদী হয়ে লামা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ইং এর ৯(৩) ধারায় মামলা রুজু করে। মামলা নং-০৭, তারিখ-১৯/০৮/২০১৫ইং। মামলাটি আমলে নিয়ে লামা থানা ভিকটিমকে ধর্ষন সংক্রান্তে ডাক্তারী পরীক্ষা করা জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয় বান্দরবান প্রেরণ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লামা থানার পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী নুর মোহাম্মদ কে গ্রেফতার করেছে এবং অপর দুই আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য চালু নেই