‘ধর্ষক’ শিক্ষককে বেঁধে পুলিশে হস্তান্তর

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর ঘরে ঢুকে তার শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (৩৮) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রামবাসী ওই শিক্ষককে আটক করে দড়ি দিয়ে বেঁধে পুলিশে দিয়েছে।

বুধবার রাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা গোদাগাড়ী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম উপজেলার দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সে উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে।

এজাহারের বরাত দিয়ে গোদাগাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল লতিফ জানান, বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা পাশের গ্রামে জলশা শুনতে যান। বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রী একাই ছিল। রাত ৯টার দিকে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই ছাত্রী কৌশলে তাকে ঘরের ভেতর আটকে রাখে।

পরে তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে গেলে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে আটক করেন। এ সময় গ্রামের লোকজন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।

গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিফজুর আলম মুন্সি জানান, ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সকালে শিক্ষক শহিদুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর নির্যাতিত ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই