ধর্মের অপব্যাখ্যা দূর করতে ইমামদের এগিয়ে আসতে হবে

জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দূর করতে ইমাম-পুরোহিতসহ সব ধর্মের উপাসনালয়ের প্রধানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসি) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মিলন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রুখবো আমরা জঙ্গিবাদ’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগঠন অপরাজেয় বাংলা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানে আয়োজন করে।

দেশজ সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে তারাই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের মদদ দাতা মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, “ধর্মের নামে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অপব্যাখ্যা দূর করতে ধর্মীয় উপাসনালয়ের প্রধানদের এগিয়ে আসতে হবে। যারা ধর্ম চর্চার নামে দেশজ সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে তারাই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের মদদ দাতা। ধর্মের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য ধর্ম ।”

ধর্মটাকে বাদ দিয়ে সাম্প্রদায়িক হয়ে থাকি এটা ধর্মের মূল কথা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে ঈমানদার মানুষ সে নিজেই জানে দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ। ধর্ম যারা যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার এটা স্বীকার করে নিলেই আন্তঃধর্মীয় সংস্কৃতি বজায় থাকবে।

“ধর্মের সাথে দেশের কোনো সংঘর্ষ নাই। এই দেশের চার হাজার বছরের সভ্যতা বিকশিত হয়েছে। এই সভ্যতার মাধ্যমেই দেশে বিভিন্ন ধর্মের আর্বিভাব হয়েছে।”

‘ধর্মের টুপি’ সামনে আনলে মনুষ্যত্বের কারণে সংঘর্ষ হয় বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, “দেশ রক্ষা করতে চাইলে, ধর্ম রক্ষা করতে চাইলে, জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকুন। আমাদের সংবিধানে প্রত্যেক ধর্মেরই স্বীকৃতি দিয়েছে। জঙ্গিবাদ একটা মনগড়া ব্যবস্থা, যা গণতন্ত্র ও সন্ত্রাস বিরোধী। মানুষ বহু পথে আগায়, যার যার ধর্ম তার তার কাছে। কোনো ধর্মই মানুষকে ছোট করে না।”

শেখ হাসিনা শক্ত হাতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করতে হবে।

“মুক্তিযুদ্ধ করে যারা দেশ স্বাধীন করেছে তারা দালাল নয়। দালাল তারা যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমদ, ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্লি বিভাগের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনো বোধি ভিক্ষু, নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফাদার বেঞ্জামিন ডি কস্তা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।



মন্তব্য চালু নেই