ধরা খেলো সাংবাদিক মুকুলের সেই সুন্দরী বান্ধবী সিঁথি
দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক নাজনীন আখতার তন্বীর দায়ের করা মামলায় গোপনে জামিন নিতে এসে জামিন না পেয়ে পালাতে চেষ্টা করেছিল বেসরকারি টেলিভিশন গাজী টিভির সাবেক বার্তা সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মুকুলের কথিত বান্ধবী মেহেরুন বিনতে ফেরদৌস সিঁথি।
পরে বাদী পক্ষের আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পুলিশ সিঁথিকে আটক করে এবং কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
স্বামীর সাথে মেহেরুন বিনতে ফেরদৌস সিঁথি
ঢাকা মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে’র আদালতে আজ শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত প্রতিবেদক জানায়, সিঁথির ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকরা পুলিশ, সিঁথির আইনজীবী এবং তাঁর এক দল বয়ফ্রেন্ডদের বাধার মুখে পড়ে।
সিঁথির বয়ফ্রেন্ডরা সাংবাদিকদের উপর হামলা করার চেষ্টাও করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তন্বীর এক খালাতো ভাই।
যেখানে প্রকাশ্য আদালতে বিচারক অমিত কুমার দে’র বারবার প্রশ্নের মুখেও সিঁথির স্বামী ঢাকা ব্যাংকের সিনিয়র প্রিঞ্চিপাল অফিসার ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিউল আমিন তার বিপদগামী বউকে কোনভাবেই তাঁর বাড়িতে নিতে অস্বীকার করছিলেন,তখনও সিঁথির দুই আইনজীবী তাঁকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে থাকে,তিনি দাবি করেন।
কিন্তু তাঁদের চাপের মুখেও তিনি সিঁথিকে জিম্মায় নিয়ে রাজী না হলে আদালত মুকুলের বান্ধবীকে সিথিকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
শুনানির সময় সিঁথিকে বোরকা পরে মুখ দেখে বসে থাকতে দেখা যায়। সে মুকুলের সাথে পরকীয়া সম্পর্কের কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও,তাঁর স্বামীর সাথে যেতেও অস্বীকার করে।
বিয়ের দিন মেহেরুন বিনতে ফেরদৌস সিঁথি
সিঁথিকে এক নজর দেখতে আসা কৌতহলী লোকজনকে সিঁথি এবং মুকুলকে গালিগালাজ করতে দেখা যায় এবং এক পর্যায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।
এ মামলার প্রধান আসামি নাজনীন আখতারের স্বামী রকিবুল ইসলাম মুকুলও কারাবন্দি। গত বৃহস্পতিবার নাজনীন আখতার এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাংবাদিক স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তিনি। এছাড়া, মেহেরুন বিনতে ফেরদৌসের সঙ্গে মুকুলের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছেও বলে দাবি করেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই