দ্যা ভিঞ্চির মোনালিসায় এবার ধরা পড়লো এলিয়েন !

বিখ্যাত কালজয়ী চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসা।

‘মোনালিসা’ নিয়ে তর্ক, বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা, অনুসন্ধিৎসা সেই ১৫০০ শতক থেকে। চিত্রকলার ইতিহাসে এই চিত্রকর্মটির মতো আর কোনোটি এত আলোচিত ও বিখ্যাত হয়নি। নানা আলোচনা, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যার তীর যেন কেবল একটি প্রশ্নবিন্দুতেই ধাবিত আর তা হলো, এ প্রতিকৃতিতে লিওনার্দোর সৃষ্টি ‘দ্য জিয়োকোনডা স্মাইল’ রচনা নিয়ে। হাসিটা কি করুণ নাকি আনন্দের? সেই কৌতূহলোদ্দীপক হাসির রহস্য সমাধান করতে গিয়ে তামাম দুনিয়ার বিজ্ঞদের যে প্রশ্নে আটকে যেতে হয় তা হলো, কে সে যাকে দেখে ভিঞ্চি সৃষ্টি করেছিলেন এই অপার্থিব সৌন্দর্যকে।

এরই রহস্যময়ী নারী অবয়বে নানা গুপ্ত সংকেত ও চিহ্নের খোঁজ বারবারই পেয়েছেন গবেষকরা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেসব ধারণা বাতিল হয়ে গেছে। এবার প্রথমবারের মতো ভিঞ্চির মোনালিসায় ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্বের প্রমাণ আছে বলে দাবি উঠল।

এ দাবি করেছে দ্য প্যারানর্মাল ক্রুসিবল নামে একটি ওয়েবসাইট। তাদের দাবি, মোনালিসাকে খুঁটিয়ে দেখলে তার মধ্যে নাকি এক ‘এলিয়েন পুরোহিতে’র ছবি দেখা যায়।

সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে মোনালিসাকে বিশ্লেষণ করে সেই ‘এলিয়েন পুরোহিতে’র ছবিও চিহ্নিত করেছে তারা।

ভিডিওটিতে দেখানো ওই ছবিতে একটি মুখ দেখা যাচ্ছে, যার দুই চোখ ও মুখ রয়েছে, মাথায় মুকুটের মতো একটি বস্তু এবং পরনে জোব্বা।

তাদের দাবি, দ্যা ভিঞ্চির ছবিতে বরাবরই নানা ধর্মীয় চিহ্ন লুকিয়ে থাকত। সে সময় রোমান ক্যাথলিক চার্চের সঙ্গে ভিনগ্রহের প্রাণীদের গোপন যোগাযোগের প্রতীক হতেই পারে এ চিহ্নটি।

মুখটিতে অবশ্য নানা সিনেমায় এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের যেভাবে কল্পনা করা হয়েছে তারই আদল রয়েছে। ‘চিহ্নিতকরণের প্রয়োজনে’ ভিডিওটিতে কালার এনহ্যান্সমেন্ট প্রযুক্তির সাহায্য নেয়ার কথা স্বীকারও করেছেন ওয়েবসাইট নির্মাতারা।

বিষয়টি সামনে আনার পর অনেকে এর থেকে সিদ্ধান্ত টেনেছেন, দ্যা ভিঞ্চি নিজেই হয়তো এলিয়েন ছিলেন। কারণ তার যেমন বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়, তা নশ্বর মানুষের মধ্যে নিতান্তই বিরল।



মন্তব্য চালু নেই