‘যুদ্ধাপরাধী লালন-পালনকারীদেরও বিচার হবে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। আরও কিছু বিচার এখনো চলছে। আর যারা যুদ্ধাপরাধীদের লালন-পালন করেছে তাদেরও বিচার হবে।
১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজা পেয়েছে তাদের হাতেই উঠেছে দেশের পতাকা। যুদ্ধাপরাধীর যেমন বিচার হয়েছে তেমন তাদেরও বিচার হবে। যুদ্ধপরাধীদের যারা প্রশ্রয় দিয়েছে তাদেরও শাস্তি পেতে হবে।
জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়ে সব যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজাকাররা তার মন্ত্রিসভার সদস্য হয়। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ আংশিক বাতিল করে দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ভোটের অধিকার দেওয়া হলো।
“হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে নাকি কোনো টু শব্দ করা যাবে না। আর এসব দোষ চাপানো হয় স্বাধীনতা যারা এনেছেন তাদের উপর। সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যারা নিজের জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করলো তারাই অপরাধী হয়ে গেলো। যে দেশ স্বাধীন করে তারা কি যুদ্ধাপরাধীদের সংসদে বসাতে পারে?”
এ সময় শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের অবদান স্বীকার করে বলেন, আজ এই যে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি সেটা নেতাকর্মীদের অবদান। ওরা তো কখনো আমাকে ছেড়ে যায়নি। বরং বিপদে আপদে আমাকে ঘিরে ধরে রক্ষা করছে। সবাই বিকিয়ে যায় না। বিকিয়ে যেতে পারে না।
“আজ আমরা যতটুকু এগিয়ে এসেছি সেটা সবার প্রচেষ্টার ফল। এমন ধারনা ধারণ করে যেন আমরা এগিয়ে যেতে পারি।”
স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়ে যায়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পরাজিতরা জাতির জনককে হত্যা করে। সারাবিশ্ব যখন মন্দায় দিন কাটাচ্ছে তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। কিভাবে বাড়ছে সেটা দেখে সবাই অবাক হচ্ছে। আমি বলি, আমরা সারাদেশের মানুষ আন্তরিকভাবে কাজ করি আর সেটাই উন্নয়নের বড় কারণ। স্বাধীনতা যারা চায় তারা ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নতি হয় অন্যরা আসলে দেশের ক্ষতি হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়ার জন্য আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। একটা প্রজন্মতো হারিয়েই ফেলেছি আমরা। তারাতো জানতেই পারেনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন আরো বেশি কিছু জানতে পারে সেই চেষ্টা আমাদের আছে।
মন্তব্য চালু নেই