দেশে জঙ্গি নেই, যা আছে বিএনপি-জামায়াতে
দেশে কোনো জঙ্গি নেই, যা আছে তা বিএনপি-জামায়াতের সংস্কারের খন্ড খন্ড সংগঠনের নাম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জেলা হত্যা দিবস উপলক্ষে ২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে এক বর্ধিত সভায় বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার বলেছি বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। জঙ্গি আছে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে। যা আছে তা বিএনপি-জামায়াতের সংস্কারের খন্ড খন্ড সংগঠনের নাম। বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে খুঁজলেই পাওয়া যাবে। কিন্তু তারা বারবার জোর করে প্রমাণ করতে চায় বাংলাদেশে জঙ্গি আছে।’
তিনি নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, একটু ধৈর্য্য ধরুন। আমাকে দেখার সুযোগ দেন। অর্থাৎ তিনি সব কিছু লক্ষ্য করছেন। তাই ২ নভেম্বরের জনসভা আপনাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। আপনাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ হবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন নগররের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওলাদ হোসেন, সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মুকুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. দীলিপ রায়, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ।
বিশ্বব্যাংককে কান ধরে উঠবস করা উচিৎ
পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়নি তা কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। তাই এসব সংস্থাকে আরো হিসেব নিকেশ করে সাবধানে কথা বলা উচিৎ। মাইপা মাইপা কথা বলা উচিৎ। এ জন্য বিশ্বব্যাংককে কান ধরে উঠবস করা উচিৎ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জেলা হত্যা দিবস উপলক্ষে ২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘এরা চোর। এরা দুর্নীতিবাজ। মানুষ এদের দিকে আঙ্গুল তুলে দেখায়। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরেছেন। আরো অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? তারা বলে, মানীর মান আল্লাহ রাখছেন। তাদের এতে কিছু হয় না।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, ‘তিনি দেশে বসে না পেরে এখন বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। আবারও তিনি আগুন দিচ্ছেন। ধর্মকে ব্যবহার করে এরা মানুষ খুন করছে। এরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। তাদের উচিৎ বঙ্গপোসাগরে নিমজ্জিত করা। তাই ২ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের জনসভায় জনসমূদ্রের উত্তাল তরঙ্গে তাদের ভাসিয়ে দিতে হবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন নগররের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওলাদ হোসেন, সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মুকুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. দীলিপ রায়, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই