‘দেশবাসী জেগে উঠলে কোনো বাহিনীই কাজে আসবে না’
খালেদাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই বিনা কারণে বেগম খালেদাকে অবৈধভাবে পুলিশ প্রহরায় আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু বালুর ট্রাক দিয়ে তাকে চিরদিন আটকে রাখা যাবে না। সরকারের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে দেশের সাধারণ মানুষ জেগে উঠলে কোনো বাহিনীই কাজে আসবে না।” অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ প্রহরা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতা।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা প্রজন্ম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্র ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘অবরুদ্ধ’ খালেদার জন্য রাজপথে কোনো আন্দোলন না থাকায় বিএনপির সমালোচনা করে মান্না বলেন, “এতো জনপ্রিয় একজন নেত্রীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হলো অথচ এখন পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনো কার্যক্রম দেখা গেল না।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “এতদিন সরকার গণতন্ত্র অবরুদ্ধ করে রেখেছে আর এখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আর এক মুহূর্তও ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। যার যার অবস্থান থেকে গ্রাম-বাংলার পাড়া মহল্লায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে হবে। যেকোনো মূল্যে ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করা হবে।”
মাহবুব হোসেন বলেন, “তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সেখানে কোনো নেতাকর্মী তার সঙ্গে দেখা করতে যেতে পাচ্ছেন না, এমনকি ভেতরে কোনো ধরনের খাবারও নিতে দেয়া হচ্ছে না।”
নিরাপত্তা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে মাহবুব হোসেন বলেন, “অতি উৎসাহী হয়ে একটি বিশেষ দলের হয়ে কাজ করবেন না। যাতে আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কোনো ক্ষতি হয়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, “বিএনপি শিশু জিহাদের মতো পাইপে আটকে আছে। আর যারা বিএনপিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে তারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। এজন্য বিএনপিকে উদ্ধারের জন্য ওই (জিহাদ উদ্ধারকারী তিন যুবক) তরুণদের মতো সাহসী কর্মী দরকার।”
আসিফ বলেন, “বিএনপি তো সংসদে নেই এমনকি বিরোধী দলেও নেই, কিন্তু তাদের এত ভয়ের কারণ কী। তাদের (সরকারের) ভয়ের একটিই কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকার।”
সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকুমার বড়ুয়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহিন ফারহান প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই