‘দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানিয়েছেন দুই নেত্রী’ : ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লক্ষ করে সদ্য গঠিত বাংলাদেশ জাতীয় জোটের (বিএনএ) চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন যোগোযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, দুই নেত্রী আজ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। তাদের সদিচ্ছা থাকলে ৫ জানুয়ারির মতো একটি নির্বাচন দেশে হতো না।

শুক্রবার দুপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটের সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের হত্যা দিবস বির্তক: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ন্যাশনাল লেবার পার্টি (এনএলপি) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশের দুই নেত্রী নিজেদের স্বার্থের বাইরে কোনো কথা বলেন না। তারা উত্তরাধিকারের স্বপ্ন দেখেন। একদল দেখে জয়কে নিয়ে এবং আরেক দল দেখে তারেক জিয়াকে নিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আজ বুুুুঝতে পেরেছে, তারা এই দুই দল থেকে মুক্ত চায়।’
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমরা সরকারকে উৎখাত করতে চাই না। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারকে বাধ্য করতে চাই।’

প্রাক্তন এই যোগাযোগমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সব ক্ষমতার উৎস বলা হলেও দেশের জনগণ সকল অক্ষমতার মালিক। তাদের কাছ থেকে সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষের মৌলিক সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সব কিছুই আজ ভূলুন্ঠিত। এমনকি দেশে আজ সভা-সমাবেশ করার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এমন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চেয়েছি, যেখানে মানবাধিকারের কথা রয়েছে, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের কথা রয়েছে। এ জন্য দেশের সব ছোট এবং বড় দলকে একটি প্লাটফর্মে আসতে হবে। এ লক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি একটি জাতীয় জোট গঠন করতে চাই, যাতে আমরা একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’

নব্য দলটির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ জিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান মো. শহীদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ-বাকশাল পার্টির চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ও বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক সিকদার প্রমুখ।

এর আগে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে মানবাধিকারের ‘জনক’ উপাধি দিয়ে সম্মানসূচক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই