খাদ্য নিয়ন্ত্রককে উপজেলা চেয়ারম্যানের চিঠি
দেবহাটা সরকারী খাদ্য গুদামে নিন্মমানের চাউল সংগ্রহের অভিযোগ
দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্জ্ব আব্দুল গনি পারুলিয়াস্থ দেবহাটা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নিন্মমানের চাউল ক্রয় না করতে চিঠি দিয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে জানা গেছে, দেবহাটা উপজেলায় চলতি বছর সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক গম সংগ্রহের লক্ষ মাত্রা ছিল প্রতি কেজি ২০ টাকা হারে ৫৩০ মেঃটন। কিন্তু সেখানে এককেজিও গম সংগ্রহ হয়নি। অন্যদিকে চাউল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ছিল প্রতি কেজি ৩১ টাকা হারে ৫৩৪ মেঃটন। সেখানে গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চাউল সংগ্রহ হয়েছে ৩০৭ মেঃটন। উক্ত চাউল উপজেলার ১০ জন মিল মালিক যথাক্রমে কুলিয়া বালিয়াডাঙ্গার মেসার্স নাহার রাইচ মিল, সখিপুরের মেসার্স উর্মে সালেহা রাইচ মিল, সখিপুরের মেসার্স মন্ডল রাইচ মিল, রামনাথপুরের মেসার্স মদিনা ভান্ডার রাইচ মিল, নওয়াপাড়ার মেসার্স শেখ রাইচ মিল, চাদপুরের মেসার্স এম এন্ড এস রাইচ মিল, চাদপুরের মেসার্স ভাই ভাই রাইচ মিল, গাজীরহাট বেজোরাটির মেসার্স জিসান রাইচ মিল, হাদীপুরের মেসার্স স্বাধীন রাইচ মিল ও চাঁদপুরের আর এফ রাইচ মিল মালিকদের নিকট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান নিন্মমানের চাউল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পারুলিয়াস্থ দেবহাটা খাদ্য গুদাম সরেজিমেন পরিদর্শন করেন এবং নিন্মমানের চাউল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সত্যতা পান। পরে তিনি তার কার্য্যালয়ের উপকা/দেব/সাত/২০১৪-৪০ নং স্মারকে দেবহাটা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া খাদ্য গুদামে নিন্মমানের চাউল ক্রয় ও সরবরাহ না করার জন্য একটি পত্র প্রেরন করেন। উক্ত চিঠির অনুলিপি তিনি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, পরিদর্শন করে তিনি দেখেছেন সেখানে অত্যন্ত নিন্মমানের খাদ্য মস্য ক্রয় ও সংগ্রহ করা হয়েছে যা এলাকাবাসীর পক্সে খাওয়ার অযোগ্য। সরকারী বিধি মোতাবেক চাউল সংগ্রহ কমিটির সঠিক তদারকির মাধ্যমে উন্নতমানের চাউল ক্রয়ের নির্দেশনা খাকলেও তা যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। তিনি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রেরনের জন্য চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। তথ্য মতে জানা গেছে, খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্টরা মিল মালিকদের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে এই ধরনের নিন্মমানের চাউল সরকারী রেটের থেকে কম দামে ক্রয় করে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। বিষয়টি সচেতন মহল তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই