দেবরকে কোপাতে গিয়ে স্বামীকে খুন
পটুয়াখালীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে দেবরকে কোপাতে গিয়ে স্বামীকে খুন করলেন মোসা. জেসমিন আক্তার (৩৮) নামে এক গৃহবধু। বুধবার রাতে জেলা শহরের টাউন বহালগাছিয়ার খন্দকার বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেসমিনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের হাতে আটক হওয়া জেসমিন বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেসমিন ও তার দেবর রুবেল মাতুব্বরের স্ত্রী মোসা. নাসিমা আক্তারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। এক পর্যায় জেসমিনের স্বামী আবুল বাসার মাতুব্বর ও তার ভাই রুবেল মাতুব্বরের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বাকবিতণ্ডা হয়। পরে দুই ভাইয়ের মধ্য ধস্তাধস্তি হয়।
এসময় জেসমিন আক্তার ঘরে ব্যবহৃত একটি গাছ-কাটা দা নিয়ে দেবর রুবেলের মাথায় আঘাত করতে চেষ্টা করেন। দেবর রুবেল আত্মরক্ষার্থে পাশে সরে গেলে সেই দায়ের আঘাতটি আবুল বাসারের বুকে লেগে মারাত্মক জখম হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে আবুল বাসার মারা যান।
খুনের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হওয়া তিন সন্তানের জননী জেসমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক কলহে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি ইচ্ছে করে কিছুই করেনি। অজ্ঞাত কারনে আঘাতটি লেগে গেছে।’
এদিকে মায়ের সঙ্গে থানায় আসা জেসমিনের তিন শিশু সন্তানের কান্নায় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তারা বলে, ‘বাবা খুন হয়েছে, মা জেলে গেলে আমাদের কে দেখবে।’
মন্তব্য চালু নেই