দুর্ভাগ্য এড়াতে চান? তাহলে এই জিনিসগুলি ভুলেও খাটের নীচে রাখবেন না
ফেং শুই-তে বিছানার নীচে কয়েকটি বিশেষ জিনিস রাখতে বারণ করা হয়েছে। কোন কোন জিনিস? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
বাস্তুবিদ্যা ফেং শুই মনে করে, মানুষের ভাগ্য তার বাসস্থানের গঠন, বাড়ির ভিতরকার আসবাবের অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। ফেং শুই-এর মত হল, প্রতিটি বস্তুর নিজস্ব এনার্জি বা শক্তি রয়েছে। এই এনার্জি পজিটিভ বা উপকারী এবং নেগেটিভ বা অপকারী হতে পারে। যেসব বস্তু নেগেটিভ এনার্জি সম্পন্ন, তাদের সংস্পর্শে বেশিক্ষণ থাকা কোনও মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যে কোনও মানুষই দিনের একটা বড় অংশ কাটায় বিছানায়। রাতের ঘুম ছাড়াও বিশ্রাম বা অন্য
প্রয়োজনে বিছানার ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই ফেং শুই-তে বিছানার নীচে কয়েকটি বিশেষ জিনিস রাখতে বারণ করা হয়েছে। কোন কোন জিনিস? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
১. জুতো: ফেং শুই মতে খাটের নীচে জুতো রাখা একেবারে অনুচিৎ। খাটের নীচে জুতো রাখা হলে রাত্রে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। শারীরিক ক্লান্তি সত্ত্বেও ঘুম না আসার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. খেলার সাজসরঞ্জাম: খেলার পোশাক-আশাক, ব্যায়ামের জিনিসপত্র, বল বা ব্যাট ইত্যাদি রাখলে শান্তি বিঘ্নিত হয়, তাছাড়া যৌন জীবনে অশান্তিও দেখা দেয়।
৩. বইপত্র: বই মানুষকে মানসিকভাবে উত্তেজিত করে। তাই ফেং শুই-তে বলা হচ্ছে, খাটের নীচে বই রাখলে ঘুমের সময় প্রয়োজনীয় মানসিক শান্তি অর্জনে অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে।
৪. ছুরি বা ধারালো জিনিসপত্র: ফেং শুই মতে ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি হিংসার প্রতীক। এগুলির নেতিবাচক প্রভাবে জীবনে হিংসার পরিমাণ বাড়ে। কাজেই খাটের নীচে ছুরি বা অন্য ধারালো জিনিস না রাখাই উচিৎ।
বরং ফেং শুই-এর পরামর্শ হল, বিশেষ কিছু জিনিস খাটের নীচে রাখলে জীবনে তার হিতকারী প্রভাব পড়ে। কোন ধরনের জিনিস সেগুলি? বলা হচ্ছে, আয়না, সুগন্ধী দ্রব্য, কিংবা টাকা জমানোর পিগি ব্যাংকের মতো জিনিস খাটের নীচে রাখলে জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।-এবেলা
মন্তব্য চালু নেই