দু’বছর ধরে নিখোঁজ শিশু কন্যা, অবশেষে খোঁজ মিলল যেখানে

দু’বছর ধরে নিখোঁজ শিশু কন্যার খোঁজ মিলল অবশেষে। জানা গেল, মালদার এক দম্পতির ওই শিশুকন্যাকে জেলা শিশু কল্যাণ সমিতি থেকেই দত্তক দিয়ে দেওয়া হয়। শিশুটিকে নিয়ে চলে আসা হয় হাওড়ায়। আইনি গেরোয় অবশ্য মেয়েকে ফিরে পেলেন না তার জন্মদাতা বাবা-মা। নিখোঁজ শিশুর খোঁজ চলছিল গত দু’বছর ধরে। হাইকোর্টের নির্দেশে CID তদন্তভার হাতে নিতেই এল সাফল্য।

২০১৩-য় প্রেম করে সুশান্ত সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় জয়শ্রী চৌধুরীর। জয়শ্রীর বয়স তখন ১৫। ২০১৪-য় মেয়ের জন্ম দেয় সে। তবে সংসারে ভাঙন ধরে এরপরই। স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করে জয়শ্রী চৌধুরী। আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার হন স্বামী সুশান্ত সরকার। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে নাবালিকা জয়শ্রীকে হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

তবে আইনি বাধায় তিন মাসের সন্তানকে সেখানে রাখা সম্ভব হয়নি। সুশান্ত ও জয়শ্রীর শিশুকন্যাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলা শিশু কল্যাণ সমিতিতে। ৩ মাস পর সুশান্ত জেল থেকে বেরিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মিটমাট করে নেন। এরপর সন্তানকে নিতে তাঁরা থানা থেকে শিশু কল্যাণ সমিতি সব জায়গায় গেলেও, কোনও খোঁজ মেলেনি। ফল হয়নি, একের পর এক চিঠি দিয়েও। দম্পতির অভিযোগ উল্টে তাঁদের হুমকির মুখেও পড়তে হয়। বেশি জোরাজুরি করলে তাঁদের জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, শুনতে হয়েছে একথাও।

সবদিক দিয়ে নিরাশ হয়ে, শেষপর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এই দম্পতি। শুনানিতে আদালত, মালদা শিশু কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, মহিলা থানার আইসি সহ চার অফিসারকে ৩০-এ নভেম্বর সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেয়। আদালতে বিচারপতির তিরস্কারের মুখে পড়েন সরকারি অফিসাররা। মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে।

সিআইডি তদন্ত শুরু করতেই, আসে ব্রেক থ্রু। জানা যায়, মালদা শিশু কল্যাণ সমিতি থেকেই হাওড়ার এক দম্পতিকে দত্তক দেওয়া হয় ওই শিশুকন্যাকে সমস্ত সরকারি নিয়মকানুন মেনেই দত্তক দেওয়া হয়েছিল। শিশুর খোঁজ পেলেও, তাকে অবশ্য কাছে পাচ্ছে না তার জন্মদাতা বাবা-মা। আদালতের নির্দেশে শিশু থাকছে তার নতুন পরিবারের কাছেই।-জিনিউজ



মন্তব্য চালু নেই