দুই বাংলার দ্রুততম বোলার তাসকিন?

কলকাতার আনন্দবাজার দৈনিকের শীর্ষ পদে কাজ করেন গৌতম ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিনের ক্রীড়া সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার খাতাটা মেলে ধরেও তিনি কিছু মনে করতে পারলেন না।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদের গড় গতি ছিলো ১৪৫-১৪৭। অনেকেই স্বীকার করছেন এপার-ওপার বাংলার দ্রুততম গতির বোলার এখন তাসকিনই। তারপরেও সন্দেহ রয়েছে।
দেশের শীর্ষ একটি দৈনিককে গৌতম বলেছেন, ‘অবশ্যই তাসকিন সেরা। আমি পশ্চিম বাংলার কথা বলতে পারি। এর সবচেয়ে কাছাকাছি গতিতে বল করেছিলেন অরুণ বর্মন। এ ছাড়া ১৪৫ কাউকে পার করতে দেখা যায়নি।’
কিন্তু বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেটার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান বলছেন অন্য কথা। তারমতে, এখনো এগিয়ে রুবেল হোসেন।
গত বিশ্বকাপে অ্যাডিলেড-মেলবোর্নে বাংলাদেশের বোলারদের ১৪৭ কিলোমিটার গতির বোলিং দেখেছেন তিনি। তবে বোলারের নাম তাসকিন নাকি রুবেল হোসেন, সেটা নিয়ে তিনিও সন্দিহান।
তাসকিন নিজের একটি ডেলিভারিকে এগিয়ে রাখলেন। জানালেন, চলতি এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি বল ছিলো ১৪৭ কিমি গতির।
স্বয়ং অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও জানেন না এটাই সর্বোচ্চ গতির কিনা। তবে তার কাছে এখনো সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার রুবেল হোসেন। বলেছেন, ‘সম্ভবত রুবেল এর চেয়ে বেশি গতিতে বল করেছে। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিংয়ের সামর্থ্য আছে ওর।’
তাই এটা নিয়ে জানতে চাওয়া হয় রুবেলের কাছেও। চোটের কারণে এখন দলের বাইরে রুবেল। আর একটি শীর্ষ দৈনিকের সঙ্গে সর্বোচ্চ গতির বল নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ফিরে গেলেন ২০০৯ বিশ্বকাপে সেই ভারত বধের দিনে। বললেন, ‘সেবার ভারতের বিপক্ষে আমার একটা ডেলিভারি ছিল ঘণ্টায় ১৪৮.৬ কিলোমিটার।’
সে হিসেবে এখনো এগিয়ে থাকবেন রুবেলই। তবে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে এসব পরের কথা। পেস আক্রমণটা দিনে দিনে দারুণ সময় কাটাতে দিচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এশিয়া কাপ দারুণ একটা প্রস্তুতির জায়গা হয়ে থাকছে। রবিবার ভারতের বিপক্ষে ভালোকিছু হলে সেটা হবে প্রস্তুতির শতভাগ পূর্ণতা।

































মন্তব্য চালু নেই