৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় গাজীপুরে ন্যাশনাল লেবার পার্টি-এনএলপি’র অংগ সংগঠন ন্যাশনাল লেবার ট্রেড ইউনিয়ন-এনএলটিইউ’র আয়োজনে “চলমান হরতাল ও অবরোধ বন্ধে আইন পাশের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে এনএলপি’র কেন্দ্রিয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এবং ন্যাশনাল লেবার ট্রেড ইউনিয়ন-এনএলটিইউ সভাপতি জোবায়ের সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লেবার পার্টি-এনএলপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং এনএলটিইউ’র প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ জিয়া। মিছিলে অংশ নেন এনএলপি ও এনএলটিইউ’র দুই শতাধিক নেতাকর্মী ।

ভাত দে কাজ দে, নইলে গদি ছেড়ে দে, দুনিয়ার মজলুম এক হও লড়াই কর, একশান একশান, ডাইরেক্ট একশান, হরতাল নৈরাজ্য বন্ধ কর, গার্মেন্টস শিল্প রক্ষা কর, দুই নেত্রী মিইল্যা, দেশটা খাইলো গিইল্যা দুই নেত্রী মাইনাস কর, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আমাদের বাঁচাও, র্গামেন্টস শিল্প রক্ষা কর, লক্ষ শ্রমিক বেকার রেখে, ডিজিটাল বাংলা হয় না, শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে গাজীপুর হ্যারিকেন এলাকা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল গাজীপুর চৌরাস্তায় যাত্রা বিরতি করে উপস্থিত জনসাধারণ এর উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন।

মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে আবদুল্লাহ জিয়া বলেন, সরকার ৭ দিনের মধ্যে দেশের চলমান নৈরাজ্য নস্যাৎ করার আল্টিমেটাম দিলেও ২১ দিনেও তার কিছুই করতে পারেনি। উপরন্তু দিনদিন পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হচ্ছে। যে পুলিশ দিয়ে আইনশৃংখলা রক্ষার কথা বলা হচ্ছে সেই পুলিশই পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে। সরকার সংলাপের উদ্দোগ না নেয়ায় দিনদিন দেশ দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে চলেছে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক আজ বেকার হতে চলেছে। হাজার হাজার গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকার কাকে সন্তুষ্ট করতে চাই তা আমরা জানতে চাই।

সরকার সংসদে জনগণের জন্য অভিশাপ হরতাল ও অবরোধ বন্ধে কোন আইন করছে না। কোটি জনতার কল্যাণে কোন কাজ সরকার করতে চায় না বলেই পুনরায় বিরোধী দলে গেলে হরতাল ও অবরোধের জায়গাটি খালি রাখতে চায়। সরকারের নিজেদের রাজনীতির জায়গাটিতে হাত দিতে চায় না বলেই সংসদে হরতাল ও নৈরাজ্য বিরোধী আইন করছে না। বিরোধী দল দীর্ঘ ১ বছর সরকারকে সংলাপের আহবান জানালেও সরকার তা থোড়াই কেয়ার করার কারণেই দেশের মানুষকে এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।

অচিরেই সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সংলাপ আহবান করলেই সকল নৈরাজ্য থেকে দেশবাসী মুক্তি পেতে পারে। তাই আমি অবিলম্বে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দেশের মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য আহবান জানাই। তিনি দলে দলে এনএলপি ও এনএলটিইউ এর সাথে যোগদান করে হরতাল ও নৈরাজ্য বিরোধী আন্দোলনে কাজ করার এবং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে আহবান জানানোর জন্য বলেন।