দুই গরু চোর আটক: ৩ গরু উদ্ধার
চট্টগ্রাম রাউজানের নোয়াপাড়া, গশ্চি নয়াহাট ও উত্তর গুজরা এলাকা থেকে গত এক সপ্তাহে চার পরিবারের ১৩টি গৃহপালিত গরু চুরি হয়েছে। সর্বশেষ গরু চুরির ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার রাতে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাদারপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামে শখের বসে গরু লালন করেন ফজল করিম নামের এক ব্যক্তি। এদিন রাতে ফজলের গোয়াল থেকে গরু নিয়ে পালানোর সময় রাত ৪টার দিকে টহল পুলিশ রাজারদিঘী এলাকা থেকে ৩টি গরুসহ আটক করা হয় রাক্সগুনিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকার রোশাই পাড়ার বাসিন্দা রাজুকে। সোমবার ভোরে পুলিশেরহাতে আটক যুবককে ছাড়িয়ে নিতে এলে জনতার হাতে পিটুনি খেয়ে আটক হয় তার ভাই কামাল নামের আরেকজন। তাদের পিতার নাম দিন মোহাম্মদ। তবে আটককৃতরা বলেন, আমরা চোর নই। আমরা দুভাই মিলে গ্রামের বাড়ীতে চা দোকান করে সংসার চালায়। রাতে এক বন্ধুর সাথে সিএনজি অটোরিক্সায় গ্যাস নিতে এলে বিপাকে পড়ে গরু গুলো রাস্তায় এলোমেলো হাটতে দেখে ধরে আনি।
এদিকে, উত্তর গুজরা থেকেই শনিবার রাতে গৃহপালিত গরু চুরি হয়েছে বলে জানাগেছে। ওই এলাকার মো. তৌহিদ নামের একজন জানান, গত শনিবার রাতে কোন একই সময়ে গরু চোর উত্তর গুজরার আবদুল হামিদ চৌধুরী বাড়ির সরোয়ার কাদেরের দুটি, রমজান আলীর দুটি ও আবদুস ছবুরের ১টি গরু গোয়াল ঘরে ঢুকে চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া আবদুস ছবুরের আরো একটি গরু চুরি করে নিয়ে যেতে না পেরে পথিমধ্যে ফেলে যায়। চুরিকৃত পাঁচ গরুর দাম প্রায় দুইলাখ টাকা হতে পারে বলে ধারনা করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার সকালে নোয়াপাড়া পুলিশ ফাড়ীতে গরুসহচোর আটকের সংবাদ পেয়ে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি নয়াহাট এলাকা থেকে ছুটে আসেন জাহাঙ্গীর আলম নামের দুই ব্যক্তি। সেখানে তারা এ প্রতিবেদককে জানান, গত এক সপ্তাহ আগে আমাদের ৫টি গরু চুরি হয়। তারা বলেছেন গরুগুলোর দাম প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের।চোরাই গরু উদ্ধার ও চোর আটকের সংবাদ পেয়ে খবর নিতে এলাম আমাদের চোরাই গরু পাওয়া গেল কিনা। কিন্তু উদ্ধার হওয়া গরু আমাদের না। নোয়াপাড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ টুটন মজুমদার বলেন, আটক একজনকে ভিন্ন মামলায় চালান দেওয়া হবে কারণ গরু চুরির বিরুদ্ধে কেউ মামলা করেনি।
মন্তব্য চালু নেই