দিল্লিতে এবার টেনে গাড়িতে তুলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

আবারও রাতের দিল্লিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ। এবার বাড়ি ফেরার পথে তরুণীকে জোর করে গাড়িতে টেনে তুলে দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত ডিফেন্স কলোনি এলাকাতে ধর্ষণ, জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।

এই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আজ সকালে ধর্ষণের শিকার তরুণীর বয়ান অনুযায়ী।

গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার জন্য মেট্রো ষ্টেশনের কাছে অটোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেই তরুণী। সেই সময় একটা সাদা স্যান্ট্রো এসে তার সামনে দাঁড়ায় ও তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়, জানানো হয়েছে ডিফেন্স কলোনি থানার স্টেশন হাউস অফিসার কুলদীপ সিংহের তরফে। তারপর তরুণীটিকে গাড়ি করে একজনের বাড়ি তুলে নিয়ে গিয়ে সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।

যে চারজনকে ধর্ষণের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছিল, এরমধ্যে তিনজনকে সনাক্ত করে গেছে। একজন আকাশ বয়স ২৩ বছর, দীপক ২০ এবং আমন নামের ওপর যুবকের বয়স ২৬ বছর। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। অপর গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি যে গাড়িতে ছিল, সেই রোহিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেনি পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার নারী, যিনি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন, তিনি পুলিশকে সেই বাড়িটি চিহ্নিত করতে সাহায্য করেন, যেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তরুণীটি এলাকার নাম বা বাড়ির ঠিকানা না বলতে পারলেও, কিছু ল্যান্ডমার্কের সাহায্যে পুলিশকে বাড়িটি চিহ্নিত করে ফেলতে সাহায্য করেন।

প্রসঙ্গত প্রথমে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ পুলিশের কন্ট্রোল রুমে একজন অটো ড্রাইভারের থেকে ফোন আসে। তিনি জানান, এক তরুণীকে তিনি কিছুক্ষণ আগে সেখানে নামিয়ে দিয়ে গেছেন এবং তরুণীটি বলেছেন, ওই অটোতেই তিনি বাড়ি ফিরবনে। মেয়েটি যখন অটো ড্রাইভারকে ফোন করেন, তিনি মেয়েটিকে তোলার জন্যেই আসছিলেন। কিন্তু মাঝখান থেকে হঠাত্ই সাদা স্যান্ট্রোটি এসে দাঁড়ায় এবং মেয়েটিকে নিয়ে পালায়। অটো চালকও পুলিশকে গাড়ির নম্বর দিয়ে সাহায্য করে, তবে এই ঘটনায় অন্য দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক। সফদরজঙ হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে, এবং তাতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।

সূত্র: এবিপি



মন্তব্য চালু নেই