দিনাজপুর সংবাদ (১২/৬/১৪)

মাহমুদুল হক মানিক, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
## বিজিবি’র আঞ্চলিক কমান্ডার হিলি সীমান্ত পরিদর্শন
জেলা প্রতিনিধি: হিলি সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি‘র উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল জোনের আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল লতিফুল হায়দার। বুধবার সকাল ১০ টায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল লতিফুল হায়দার হিলি চেকপোষ্ট বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পে এসে পৌছান। তিনি সীমান্ত ঘেষা হিলি চেকপোষ্ট, রেলস্টেশনসহ সীমান্তের র্স্পশকাতর এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি হিলি চেকপোষ্ট গেটে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরিদর্শন কালে তার সাথে ছিলেন দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মাহমুদ আল মামুন, ৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে: কর্ণেল আব্দুর রাজ্জাক তরফদারসহ অন্যান্য স্টাফ অফিসারগণ।

## বিরামপুরে নারী উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা সম্পন্ন
জেলা প্রতিনিধি: বিরামপুর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে স্থানীয় সরকার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “উপজেলা গভর্ন্যান্স প্রজেক্ট”এর আওতায় উপজেলা পর্যায়ে নারী উন্নয়ন ফোরাম গঠন বিষয়ক এক দিনের কর্মশালা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. মনিরুজ্জামান আল মাসউদের সভাপতিত্বে কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পারভেজ কবীর। কর্মশালায় পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়ন পরিষদের ২৪ নারী সদস্য অংশনেন। এতে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী সাংবাদিক দৈনিক যুগের আলো’র প্রতিনিধি প্রভাষক জাহানারা আকতার এবং আমানুল্লাহ আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক শিরিন সুলতানা। বিরামপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিন্নাতুন নেছাকে সভাপতি ও ইউপি সদস্য (মুকুন্দপুর) ইসমত আরাকে সাধারন সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট নারী উন্নয়ন ফোরাম বিরামপুর উপজেলা শাখার নয়া কমিটি হয়েছে। কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন সহসভাপতি বিরামপুর পৌর কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ ইউপি সদস্য (বিনাইল) রেহেনা পারভীন প্রমুখ।

## নবাবগঞ্জ থেকে কেমিক্যাল মেশানো আম দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে
জেলা প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা এলাকা থেকে চলতি আমের মওসুমে কেমিক্যাল মেশানো আম দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব কেমিক্যাল মেশানো আম খেয়ে শিশু-কিশোরসহ দেশের জনগণের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। জানা যায়, ক্রেতারা কাঁচা আম পাইকারী মূল্যে বাগান মালিকদের নিকট থেকে ক্রয় করে তাতে যেন পচন ধরে নষ্ট না হয় সেই জন্য সেগুলিতে কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ক্রেতারা আম কেনার পর তার উপর কেমিক্যাল স্প্রে করে ফ্যানের বাতাসে শুকানোর পর প্লাষ্টিকের কার্টুনে কাগজের আবরন দিয়ে তা প্যাকেটজাত করে ট্রাকে ভরে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের টুপিরহাট নামক স্থানে গিয়ে দেখা যায় আম কেনার জন্য সেখানে সারি সারি আড়ৎ বসানো হয়েছে। এসব আড়তে বিক্রেতারা কাঁচা আমই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মন দরে বিক্রি করছে।
আড়ৎদারদের নিকট আমে কেমিক্যাল মেশানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তা অস্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আড়ৎদার জানান বাহির থেকে যেসব আড়ৎদার এসে আম ক্রয় করছে তারা কিছুটা হলেও কেমিক্যাল মেশাচ্ছে। একটি ছোট্ট দোকানের ছেলে জানালেন আম ক্রয় করার পর সেই আমে ছোট মেশিন দিয়ে ওষধ ছিটানো হয়ে থাকে। তবে কি ওষধ ছিটানো হয় তা তারা কেউই জানেন না। অনুরূপ ভাবে ওই এলাকার বটতলী ও তেলীপাড়া নামক স্থানেও বেশ কিছু আড়ৎ বসানো হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
এলাকার সাবেক একজন জনপ্রতিনিধির ভাষায় আমে দেদারছে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্যানিটারী ইনস্পেক্টর ইব্রাহিম আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কেমিক্যাল পরীক্ষা করার মত যন্ত্রপাতি তার নাই। বিষয়টির প্রতি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করা দরকার বলে সচেতন মহল দাবী করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই