দিনাজপুরের কিছু খবর

দিনাজপুরে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

দিনাজপুরে ৫ শহস্রাধীক দুঃস্থ ও অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।
৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর ষ্টেশন ক্লাব প্রাঙ্গনে দিনাজপুরে ৫ শহস্রাধীক দুঃস্থ ও অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে নিজ উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকার ফিনিক্স ইন্সুরেন্স এর চেয়ারম্যান মোঃ সোহেব, কার্বন কমিনিউকেশন এর চেয়ারম্যান তানভীর খাঁন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইউনুস সরকার, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা, দিনাজপুর শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক এস.এম খালেকুজ্জামান রাজু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি আবু ইবনে রজব, দিনাজপুর শহর মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়িকা খ্রীষ্টিনা লাভলী দাস, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমান বিপ¬বসহ আওয়ামীলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগএর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।
কাহারোল শীত বস্ত্র বিতরন
DINAJPUR DIC-দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ডিগ্রী কলেজ মাঠে দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটির উদ্দ্যোগে ৭০০ শীত বস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় শীত বস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা কাহারোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ চৌধুরী। শীত বস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে ছিলেন, কাহারোল থানা অফিসার ইনচার্জ পৃথ্বীশ কুমার সরকার, কাজী মহসিন উদ্দীন আহম্মেদ, কাহারোল উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল গনি মাষ্টার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

বিরামপুরে অভিভাবক সমাবেশ
শিক্ষার্থীদের ইসলামী আদর্শে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে বুধবার আল মারূফ ট্রাস্ট News Photoপরিচালিত বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুল ও ভোকেশনাল স্কুলের অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ হয়েছে। বিদ্যালয় সভাপতি ড. অধ্যাপক এনামুল হকের সভাপতিত্বে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও মেধাবীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, আল মারূফ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম, অধ্যাপক আবুল হোসেন, আদর্শের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান,পাইলটের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন, বণিক সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী প্রমূখ।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদের অভিযোগ: দিনাজপুর হাবিপ্রবির ভিসি তামাশা এবং স্বৈরাচার মনোভাব প্রকাশ করছে
বার বার হল ভ্যাকেন্ড করে ছাত্রদের সাথে চরম তামাশা করেছেন এবং স্বৈরাচার মনোভাবের পরিচয় দিয়ে আজও তার চেয়ারে বহাল তবিয়তে আছেন ভিসি প্রফেসর রুহুল আমিন। ছাত্রদের চরম সেশন জটে ফেলে ববিষ্যত অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন। জামায়াত-শিবির মানসিকতার ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন। লক্ষ লক্ষ টাকা জ্বালানী থেকে আত্মসাৎ করেছেন ভিসি প্রফেসর রুহুল আমিন। বুধবার দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ইফতেখারুল উপরোক্ত কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রুহুল আমিন শুধু মাত্র নিজের স্বার্থের কারনে এবং তার বিভিন্ন অযোগ্যতা ঢাকার জন্য সম্পুর্ন স্বাভাবিক পরিবেশ থাকা সত্বেও ২৯ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং হলগুলো ভেকেন্ড করে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি নতুন রেকর্ড তৈরী করেছে। ১৫ ডিসেম্বর ক্যাম্পাস খোলার ঘোষনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রমাসন দিয়েছিল। কিন্তু কোন কারন ছাড়াই আবার ১৫ ডিসেম্বর হতে ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় এবং হলগুলো ভ্যাকেন্ড করা হয়। এটা তার সম্পুর্ন স্বৈরাচারী মানষিকতা। ১ জানুয়ারী ক্যাম্পাস ও হল খোলার কথা থাকলেও আবারো ১ জানুয়ারী থেকে ১২ জানুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় ও হল ভ্যাকেন্ড অব্যাহত রেখে ছাত্রছাত্রীদের ছাত্রজীবন ধ্বংসের নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বিনা কারনে দিনের পর দিন বন্ধ রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের ভয়অবহ সেশন জটের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ভিসি। সরকার তাকে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন বন্ধ রাখার জন্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রেখে ভিসি অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। ভিসি রুহুল আমিনের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার নৈতিক অধিকার নাই। আমরা বিসি রুহুল ইমনের অপসারন দাবী করছি।
এক বক্তব্যে বলেন, ভিসি রুহুল আমিন যানবাহনের জ্বালানী থেকে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যা আগামী ২ জানুয়ারী পরিশোদ করার কথা এবং তদন্ত চলছে। ইতিপূর্বে ভিসির বিরুদ্ধে জ্বালানী থেকে ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে এবং তা তদন্ত চলছে। এই জ্বালানী থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের সাথে ড. বলরাম রায়ও জড়িত রয়েছে। ভিসি প্রফেসর রুহুল আমিন একর পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। তারা অবিলম্বে বিষির অপসারন ও ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেয়ার দাবী জানান। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্রদের ন্যায্য দাবী আদায় করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগ্রাম পরিষদের পূর্নেন্দু চৌধুরী, আতিকুর রহমান রানা, প্রত্যুষ কুমার রায়, মঞ্জুরুল আলম সুমন, রেজাউল করিম রেজা ও শিকদার শাহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ভিসি প্রফেসর রুহুল আমিন নিতিগত ভাবে কট্টোর আওয়ামী লীগার। আওয়ামী লীগ করেন বলেই ভিসির পদটি পেয়েছিলেন।
দিনাজপুর শহরের রহিম সুপার মার্কেটে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
দিনাজপুর শহরের প্রানকেন্দ্র রহিম সুপার মার্কেটে বিউটি ক্লথ ষ্টোরে ৫ লাখ টাকার দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
বিউটি ক্লথ ষ্টোরের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত রার ১০ টায় দোকান বন্ধ কাপড় বিক্রির করে দোকানে নগদ ৩৫ হাজার টাকা এবং এলজিইডিতে ড্রপিং এর জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা রেখে গেছে। রাতে নৈশ্য প্রহরী পাহাড়া ছিল। পরের দিন ৩০ ডিসেম্বর দোকান খুলতে এসে দেখে দোকানের শার্টারের তালা ও শার্টার ভাঙ্গা। দ্রুত থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ ও মার্কেট কমিটির লোকজন যৌথ ভাবে দোকানে প্রবেশ করে দেখতে পায় ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা মুল্যের কাপড় ও দোকানে রক্ষিত ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। ডাকাতির ঘটনা সম্পর্কে নৈশ্য প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় ৩০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় সে দোকান অক্ষত অবস্থায় রেখে গেছে।
ঝাড়–দার সালমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, ৩০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টায় বিউটি ক্লত ষ্টোরের সামনে মোঃ সায়েম, পিতা-জিল্লুর রহিম (পল্টু) (রহিম সুপার মার্কেটের মালিকের ছেলে) ও মাসুম পারভেজ,পিতা-মমিনুল হক (জিল্লুর রহিমের জামাতা), একটি সাদা মাইক্রো বাস (যার নং-ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-০৯৫২) দোকানের সামনে অবস্থান করছে। সায়েম ও তার পরিবার মার্কেটের উপর তলায় বসবাস করে। বাদীর দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেন, তাদের সন্দেহ হয়, সায়েম ও মাসুদ পারভেজ রাতে যে কোন সময় অথবা নৈশ্য প্রহরী চলে যাওয়ার পর মাইক্রো বাস দিয়ে দোকান আড়াল করে দোকানের শার্টার তালা ও শার্টার ভেঙ্গে দোকানে ডাকাতি করেছে। উক্ত সায়েমের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও একাধিক চুরির ঘটনার অভিযোগ আছে। দোকানে খোয়া যাওয়া মালামাল ও নগদ অর্থসহ মানুমানিক ৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। থানায় মামলা দায়ের করার পর থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে। এনিয়ে রহিম সুপার মার্কেটের সকল ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ব্যবসায়ীদের দাবী ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে ব্যবসায়ীদের আতংক দুর করা হোক।



মন্তব্য চালু নেই