দিনাজপুরে মোবাইল প্রতারক চক্রের হোতা সাইফুলসহ ২ জন আটক

মোবাইল ফোনে প্রতারণায় বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের হোতা সাইফুল ইসলাম (২১) সহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছে একাধিক মোবাইল ফোন, অসংখ্য মোবাইল সিম ও নগদ ৮৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

রেকিং করে ব্যাপক গোয়েন্দা ফাঁদ ফেলে নীলফামারী ও দিনাজপুর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় দিনাজপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন, সাইফুল ইসলাম(২১) ও হিমেল দীপ্ত (২৫)। আটক সাইফুল ইসলাম নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ী এলাকার সোহবার আলী’র ছেলে এবং হিমেল দীপ্ত নীলফামারী জেলার ডিমলা টুনির হাট এলাকার মফিজার রহমানের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

দিনাজপুরের সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুশান্ত সরকার জানান, প্রতারক সাইফুল ইসলাম ও হিমেল দীপ্ত দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে মানুষকে প্রতারিত করে বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো। এই প্রতারনার জন্য তারা মোবাইল ফোনে কমপক্ষে তিন শতাধিক মোবাইল সিম ব্যবহার করেছে। নীলফামারী ও দিনাজপুর পুলিশ রেকিং এর মাধ্যমে ওই সিম নম্বর গুলো সনাক্ত করেছে । তাদের ধরার জন্য গোয়েন্দা ফাঁদও ফেলেছে। কিন্তু অত্যন্ত ধুরন্ধর প্রতারক চক্রটি বিষয়টি বুঝতে পেরে বার বার স্থান পরিবর্তন করেছে।

তাদের আটক করতে বুধবার সকাল থেকে গোয়েন্দা ফাঁদ ফেলে নীলফামারী জেলার সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ফিরোজ কবির, দিনাজপুর সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুশান্ত সরকার ও দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি রেদয়ানুল রহিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান অব্যাহত রাখে। রাত সাড়ে ১০টায় দিনাজপুর শহরের নিমতলাস্থ আবাসিক হোটেল ইউনিক এর ৩০২ রুম থেকে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।

এই প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন জনের কাছে ফোন করে নিজেকে ঘনিষ্টজন দাবী করে মা-বাবা ও ভাই-বোন হাসপাতাল অথবা অন্য কোন স্থানে মারা গেছে। ১৫/ ২০ হাজার টাকার কারণে লাশটি ছাড়িয়ে আনতে পারছেন না। কেঁদে কেঁদে তা জানিয়ে টাকা ধার চেয়ে বিকাশ নম্বর দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া,হারিয়ে যাওয়া বা অপহৃত শিশু বা ব্যক্তি তাদের জিম্মায় রয়েছে বলে জানিয়ে মোটা টাকা দাবী করে বিকাশের মাধ্যমে নিতেন।

এছাড়াও মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে বিভিন্নজনকে জানাতের তার আপনজন সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। মৃত্যু মুখোমুখি। এই বিকাশ নম্বরে তাড়াতাড়ি টাকা পাঠান। এছাড়াও জিনের বাদশা সেজেও মোবাইল ফোনে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতেন তারা বলে জানিয়েছে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই