ফায়ার স্টেশন ইনচার্জকে বখাস্তঃ ১৬ ফায়ারম্যান ও ড্রাইভারকে স্ট্যান্ড রিলিজ

দিনাজপুরে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ফায়ার স্টেশন ইনচার্জ আনোয়ারুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে ফায়ার স্টেশনের ১৬ ফায়ারম্যান ও ড্রাইভারকে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিডি সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্বতীপুর ফায়ার স্টেশন পরিদর্শনে এসে এ নির্দেশ প্রদাান করেন। তিনি অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাদী ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের এডি কোবাদ আলী সরদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহেনুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক, যুগ্ম-সম্পাদক আমজাদ হোসেন প্র্রমুখ।

স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া ফায়ারম্যান ও ড্রাইভাররা হলেন- রুম্মন কায়েস, আবু তাহের, উজ্জল কুমার রায়, পুষ্প কুমার রায়, নিহার রঞ্জন, মনছুর আলী, মিজানুর রহমান, আ. খালেক, আতাউর রহমান, রুবেল হোসেন, শাহিনুল ইসলাম, তানজিমুল ইসলাম ও মকলেছুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, রাসেল আলী ও পার্বতীপুর রুস্তনগরের আবুল হাসনাত।

ফায়ার সার্ভিস রংপুর বিভাগের ডিডি সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘সামান্য একটি কচুগাছকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করা ঠিক হয়নি স্টেশন ইনচার্জের। এ কারণে এলাকাবাসীর দাবির মুখে স্টেশন ইনচার্জ আনোয়ারুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুরে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে স্টেশনের ১৬ ফায়ারম্যান ও ড্রাইভারকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। স্টেশনকে সচল রাখতে অন্য স্টেশন থেকে ফায়ারম্যান নিয়ে আসা হয়েছে। স্টেশন ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাহাঙ্গীর আলমকে।’

উল্লেখ্য,রোববার শহরের রোস্তমনগরের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাদী ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে বাড়িতে লাগানোর জন্য একটি কচুগাছের চারা তোলেন। ইনচার্জকে না বলে কচুগাছ তোলার অপরাধে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন স্টেশন ইনচার্জ আনোয়ারুল হক। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবলু ও এক স্কুল শিক্ষক এগিয়ে গেলে তাদেরও লাঞ্ছিত করা হয়।প্রতিবাদে ওই দিন রাতে ফায়ার সার্ভিস ঘেরাও করেন বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।



মন্তব্য চালু নেই