দিনাজপুরে ফিরে এসেছে পাটের সোনালী ঐতিহ্য

শাহ্ আলম শাহী, স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকেঃ এক সময়ের সোনালী আঁশ পাটের খ্যাতি আর ঐতিহ্য আবারও ফিরে এসেছে দিনাজপুরে। পাটের ন্যায্য দাম পাওয়ায় এ জেলার চাষীদের পাট চাষে আগ্রহ বেড়ছে। এ বছর লক্ষ্য মাত্রার অধিক পাট চাষ হয়েছে। পাটের বাম্পার ফলনও পেয়েছেন কৃষক।

দিনাজপুরের মাঠে-ঘাটে এখন পাট কর্তন,জাক দেয়া,ধোয়া আর উভানোর কাজ চলছে। এ দৃশ্য দেখেই বোঝা যায়,সোনালী আঁশ পাটের খ্যাতি আর ঐতিহ্য ফিরে এসেছে দিনাজপুরে।

জেলায় চলতি মৌসূমে ৭ হাজার ১’শ ২৭ হেক্টর জমিতে পাট চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অতিরিক্ত ৬’শ ৫২ হেক্টর বেশী জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবার পাটের ফলনও হয়েছে ভালো।

দেশি জাতের পাটের মধ্যে বিজেসি, সিভিএল-১, সিভিই-৩, সিসি-৪৫, ডি-১৫৪, বিজিআরআই-১৫ জাতের পাট চাষ এবার বেশি হয়েছে। তোষা জাতের মধ্যে সোনার বাংলা ৯৮ ও ৯৭, তাজ মহল ৩ ও ৪, লাউ ছড়া ১ ও ২ জাতের পাট রয়েছে।

হেক্টর প্রতি দেশী ৮ দশমিক ৫৫ এবং তোষা ১০ দশমিক ৯০ বেল উৎপাদন ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অনুযায়ী জেলায় এবার পাট উৎপাদন নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৩ হাজার ১’শ ২১ বেল। কিন্তু উৎপাদন হবে আরও বেশী বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন,কৃষককে রিবোন রেডিং পদ্ধতিতে পাট পচানো শেখানো হচ্ছে। এতে পাটের গুনগত মান বজায় থাকছে। বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮’শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা মন দরে।

পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষ,পাট বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের কলা-কৌশল,পাট পচন এবং পাটের গ্রেডিং নিয়ে পাট চাষী প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা’র আয়োজন করা হচ্ছে।

পাটের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে পাট চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। পাটের ন্যায্য মূল্য পেলে এ অঞ্চলে পাট চাষের পরিধি আরও বেড়ে যাবে এমনটাই মন্তব্য করেছেন কৃষিবিদরা।



মন্তব্য চালু নেই