দিনাজপুরে দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পলাশবাড়ী ইউপি’র দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিভিন্ন অনিয়ম,দূর্নীতি ও অপকর্মের বিচার এবং ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ইউপি’র ৪ সদস্যসহ এলাকাবাসী।

দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়ন লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহজাহান আলী ঘুংরু। উপস্থিত ছিলেন,পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাবুল হোসেন.ইউপি সদস্য আজাহার আলী,আবুল হোনেস,মহিলা সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আঞ্জুয়ারা বেগমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়,পলাশবাড়ী ইউপি’র দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিভিন্ন অনিয়ম,দূর্নীতি ও অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা আজ তার কুচক্রে’র রোষানলে পড়ে ভিটেমাটি ছাড়া হতে চলেছি। পবিত্র ঈদ-উল-আজাহা’র ভিজিএফ’র চাউল বিতরণে চেয়ারম্যান মিজানুর অনিয়ন ও দূর্নীতি আশ্রয় নিলে আমরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তার প্রতিবাদ করায় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ২ ইউপি সদস্যসহ ৪জনকে এলোপাথারী পিটিয়েছে। এই দুঃখজনক ঘটনাটি প্রকাশ্যে ঘটিয়েছে, পবিত্র ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চত্বরেই। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তার অপকর্ম ও দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে কুটকৌশলে লিপ্ত হয়েছে। তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করছেন।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনসহ ৪ ইউপিসহ ১০ জন নিরীহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে ণিখিত বক্তব্যে জানানো হয়,ঈদ উপলক্ষে সরকারের বরাদ্দ ভিজিএফ’র চাউল ২২ ও ২৩ সেপ্টম্বও দু’দিন বিতরণ করে পলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তবে ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে অনেকে চাউলের প্রাপ্ত কার্ড নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চাউল নিতে আসলেও চাউল বিতরণ শেষ এবং আর চাউল নেই এই বলে চেয়ারম্যান মিজানুর এবং তার লোকজন দুঃস্থ-দরিদ্র লোকজনদের তাড়িয়ে দেয়।

কিন্তু ওই দিন রাত ৮টায় চেয়ারম্যান মিজানুর নিজে এবং পরিষদের একজন দাফাদার ও তার ৬/৭ জন লোককে ইউনিয়ন পরিষদে দু’টি নসিমনসহ চালের বস্তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য আসে। কিন্তু স্থানীয় জনতা তা আটক করে ফেলে। এ সংবাদ পেয়ে আমরা পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাবুল হোসেন.ইউপি সদস্য আজাহার আলী,আবুল হোনেস,মহিলা সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আঞ্জুয়ারা বেগমসহ এলাকার অনেকেই উপস্থিত হই। এবং ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের রক্ষিত ১৯ বস্তা চাউল অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধা দেই। বিষয়টি আমারা তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও),থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি),দূর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে মোবাইল ফোনে জানাই। ইউএনও সকালে বিষয়টি নিজেই হস্তক্ষেপ করবেন এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ চাউল বিতরণে দূর্নীতির অভিযোগের প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাদের মোবাইল ফোনে আশ্বাস দেন।

ধূরন্ধর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নিজের বিপদ জানতে পেরে ওই বুধবার গভীর রাত থেকে ভোর ও ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার সকালে নিজের লোকজনদের বাড়ি বাড়ি দিয়ে ভিজিএফ’র কার্ড পৌঁছে দেয় সকালে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাউল উত্তোলন করার জন্য। সকালে চেয়ারম্যান মিজানুর তার লোকজন নিয়ে চাউল উত্তোলনের নাটক করতে আসলে আমরা পরিষদের সদস্য বাবুল হোসেন.ইউপি সদস্য আজাহার আলী,আবুল হোনেস,মহিলা সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আঞ্জুয়ারা বেগমসহ এলাকার লোকজন তাদের বাধা দেই। এবং জানাই, ইউএনও সাহেব লোক পাঠানোর পর সুষ্ঠুভাবে প্রকৃত লোকজন চাউল নিবে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এবং তার ভাই, ভাগিনা এবং সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের এলোপাথারীভাবে লাঠি পেটা করে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে।

এতে ইউপি সদস্য আজাহার আলী,ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন, মহিলা সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আঞ্জুয়ারা বেগমসহ ৫ মারাত্মকভাবে আহত হই। দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করি আমরা।আমরা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার ফঁকে দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আত্মসাৎ করতে চাওয়া ১৯ বস্তা ভিজিএফ’র চাউল তার নিজের লোকজনের মধ্যে বিতরণ করে দেয়। কিন্তু এলাকার প্রকৃত দুঃস্থ ও গরীব মানুষরা বঞ্চিত হয় সরকারী সাহায্য থেকে। অনেকে স্লিপ বা কার্ড পেয়েও পায়নি ভিজিএফ’র চাউল। ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর যারা চাউল আনতে গিয়েছিলো,তাদের চাউল নেই বলে তাড়িয়ে দিয়েছে চেয়ারম্যান মিজানুর। তার প্রমাণ এখনও চাউল পায়নি অনেক স্লপ বা কার্ডধারী দুঃস্থ মানুষ।

অথচ ১৯ বস্তা চাউল সংরক্ষিত রেখে তা আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালায় চেয়ারম্যান মিজানুর। আমরা তার প্রতিবাদ করে ১৯ বস্তা চাউল আটকের পর ইউএনও’র প্রতিনিধি’র উপস্থিতিতে আইনগত ও সুষ্ঠুভাবে প্রকৃত দুঃস্থ এবং গরীব মানুষের মাঝে বিতরণের দাবী জানালে উল্টো আমাদের লাঠিপেটা ও রক্তাক্ত করেছে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এবং তার ভাই, ভাগিনা এবং সন্ত্রাসী বাহিনী।

মুলতঃ দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কুটকৌশল করছেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে আমাদের ভিটেমাটি ছাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আমাদের হত্যা ও গুম করারও হুমকি দিচ্ছেন বিভিন্নভাবে।

কারণ এর আগে আমরা ইউপি’র ৫ সদস্য ও ইউনিয়নের অধিকাংশ ওয়ার্ড এর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ চেয়ারম্যান মিজানুরের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি’র অভিযোগ এনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, দুর্নীতি দমন কামিশন,জেলা প্রশাসন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা দপ্তরে অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। এছাড়াও এনিয়ে এর আগে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছি আমরা।

দিনাজপুর বিরল উপজেলার ১১নং পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমানের ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, আর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এলাকার রাস্তা-ঘাট, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ, চাল-গম, ভিজিএফ কার্ডের চাল-গম আত্মসাৎ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন আয় খাতের টাকা এবং রাস্তার দু’ধারের গাছ কেটে বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান আইনের প্রতি কোন শ্রদ্ধাশীল না হয়ে একের পর এক অনিয়ম, দূর্নীতি আর স্বজনপ্রীতি করে আসছেন। যেমন ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স আদায়ের আনুমানিক সাড়ে ৩ লাখ টাকার মধ্যে সামান্য কিছু টাকা ইউনিয়ন পরিষদের ফান্ডে জমা দিলেও বাকী টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ৫টি খোয়াড় ডাকের টাকা আদায়ের পর পরিষদের ফান্ডে জমা না করে নিজেই পকেটস্থ করেছেন।

অত্র ইউনিয়নের দক্ষিন বাড়ী মৌজা হতে বুজরুখ বসন্তপুর হাট পর্যন্ত রাস্তার দু’পার্শ্বে দেড় শতাধিক মূল্যবান গাছ (কড়াই, শিশু, ইউক্যালেক্টারস) তার দূর্নীতির সহযোগী আইনুল চৌকিদার এবং লোকজন দিয়ে কেটে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে এবং কিছু গাছ বসন্তপুর হাটে জমা রাখে।

পরবর্তীতে চেয়ারম্যান মিজানুর তার দূর্নীতির সহযোগী চৌকিদার আইনুলকে দিয়ে এক গাছ ব্যবসায়ীকে ডেকে এনে গাছ আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে পলাশবাড়ী মুন্সির মোড় হতে মন্ডলপাড়া মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে মূল্যবান গাছ, গাছ ব্যবসায়ীদের কাছে মাত্র ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা কমিশন নিয়েছেন চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের অনিয়ম আর দূর্নীতি শেষ নেই। চলতি ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ৩টি কাবিখা প্রকল্পের কাজ নিয়ম মাফিক বরাদ্দ বা কাজ সমাপ্ত করেন নাই। গত মে এবং জুন মাসে ৩টি কাবিখা প্রকল্পে একই ভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। ১নং বুধবাড়িয়া হাট হতে মোলানিয়া মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজে ৯ মেট্রিক টন চাল এবং গম বরাদ্দ দেয়া হয়। ২নং সারাঙ্গাই খানকা ঘরের রাস্তা হতে দপ্তপাড়া পাকা রাস্তার মোড় পর্যন্ত বিশেষ বরাদ্দ ৯ মেট্রিক টন গম ও চাল, ৩নং বৌদ্ধনাথপুর মোড় হতে বঙ্গবন্ধু মাদ্রাসা পর্যন্ত মাটি কাটা প্রকল্পের বিশেষ বরাদ্দ ৯ মেট্রিক টন গম ও চাল সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান। ৩টি প্রকল্পের ২৭ মেট্রিক টন চাল ও গম বরাদ্দ থাকলেও ওই প্রকল্প ৩টির কোন কাজই হয় নাই এবং ৩টি প্রকল্পের সভাপতি বা সম্পাদক কে তাও কেউ জানে না।

ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন প্রকল্প (টি.আর, কাবিখা, থোক বরাদ্দ, সৃজনশীল) সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড গুলোতে এক তৃতীয়াংশ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যদেরকে অর্পন করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান মিজানুর তা না করে নিজের পছন্দশীল ব্যক্তিদের প্রকল্পের চেয়ারম্যান দেখিয়ে তা অধিকাংশ বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অত্র ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচির মাটি কাটার কাজ বাদ দিয়ে ওই মাটি কাটা শ্রমিকদের নিয়ে চেয়ারম্যান মিজানুর তার নিজের জমির বোরো ধান কাটিয়েছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য তহবিলের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে ইউনিয়ন তহবিল হতে ১০৫০ টাকা হারে ত্রৈমাসিক সম্মানি ভাতা উত্তোলনের ক্ষমতা থাকলেও অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রায় ৩ বছর যাবৎ ইউপি সদস্য বা সংরক্ষিত মহিলা সদস্যাদের কোন সম্মানি ভাতা নিয়মিতভাবে না দিয়ে যৎ সামান্য টাকা প্রদান করেছেন। অত্র ইউনিয়নের উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কোথায় কিভাবে খরচ হচ্ছে তা ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্য বা সংরক্ষিত মহিলা সদস্যারা কেউ জানেন না। জানতে চাইলেও তাদের না জানিয়ে চেয়ারম্যান মিজানুর উল্টো বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় তাদের গালাগাল করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী, মাস্তানদের দিয়ে তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও ভয়-ভীতির প্রদর্শন করেন।

চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তার ১১নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। আওয়ামী লীগের ভাল পদে থাকলেও তিনি অধিকাংশ সময় বিএনপি-জামাতের নেতা কর্মীদের সাথে উঠা বসা করেন। তাদের সাথেই তার কথা ও চলাফেরা বেশি। অনেক সময় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সম্পর্কেও কটুউক্তি করেন তিনি। এ কারণেই চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্রে অত্র ইউনিয়নের অধিকাংশ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ স্বাক্ষর করেছেন। যা বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

শুধু অনিয়ন ও দুর্নীতি করেই ক্ষান্ত নয় চেয়ারম্যান মিজানুর। পলাশবাড়ী ইউনিয়ন সীমান্ত বেষ্টিত হওয়ায় অত্র ইউনিয়নের সাধারণ জনগণকে তিনি বিভিন্ন সময় চোরাচালান ও মাদক পাচার মামলায় জড়িত থাকার হুমকি প্রদর্শন করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। কেউ তার কথায় সারা না দিলে চেয়ারম্যান মিজানুর থানা পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে ওই সব ব্যক্তিদের ধরিয়ে দিয়ে জেল হাজাত খাটান। এমন অসংখ্য প্রমান রয়েছে এলাকায়।



মন্তব্য চালু নেই