দিনাজপুরের বিরামপুরে স্কুলে মারাত্মক ফাটল
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার গঙ্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ঝড়ে ৮টি কক্ষে মারাত্মক ফাটল দেখা দেয়ায় এবং প্রকৌশলী কর্তৃক পরত্যাক্ত ঘোষনাকৃত কক্ষেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে।
স্কুলের ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী দূর্ঘটনা আতংকে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠা লগ্নে গঙ্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আধাপাকা টিনসেড কক্ষ নির্মান করা হয়।
দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে এমনিতেই ক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সরকারি অনুদানের অভাবে সেখানে কোন উন্নয়নের ছোঁয়াও লাগেনি। এই মড়ার উপর খাড়ার ঘা পড়েছে ১মে বৃহস্পতিবার রাতের কাল বৈশাখী ঝড়ে। ঐ রাতের ঘুর্ণি বাতাসে জরাজীর্ণ স্কুল গৃহের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, ছাত্রী কমন রুম, লাইব্রেরি, কম্পিউটার কক্ষ, ও শ্রেণী কক্ষসহ ৮টি কক্ষের দেয়ালে মারাত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদ জামান কক্ষগুলো পরিদর্শন করে সেগুলোকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেছেন। কিন্তু বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যালয়ের ২৫০জন শিক্ষার্থী ও ১৬ জন শিক্ষক কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যাক্ত ঘোষিত কক্ষে পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজ চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে যে কোন সময় প্রাণহানীর আশংখা রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস, এম জিন্নাহ জানান, তিনি স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ কবীর শনিবার (১০মে) ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলটি পরিদর্শন করে জানান, পাঠদান অব্যাহত রাখার জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অস্থায়ী সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ জানান, জরুরী ভিত্তিতি স্কুলটি পুনঃনির্মানের ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়বে। এব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই