দিনক্ষণ আসছে, খালেদা বিতাড়িত হবে

‘খালেদার পরাজয় নিশ্চিত’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তান থেকে আমরা এগিয়ে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও আমরা এগিয়ে। তা সত্ত্বেও খালেদা জিয়া দেশকে পেছনে ফেলে দেয়ার জন্য চেষ্টা করছে। দিনক্ষণ আসছে বেগম জিয়া আবারও পরাজিত হয়ে এদেশের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হবে। সে পরাজিত হতে বাধ্য। আমরা লড়তেছি সত্যের জন্য। আর সত্যের কাছে মিথ্যে বা অসত্য টেকে না।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে শেখ হাসিনার অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া একটা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে জনগণের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে সে একাত্তরের মতো পরাজিত হবে। তার জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
সংলাপের বিষয়ে তোফায়েল বলেন, ‘অনেকে অনেক কথা বলে। কিছু লোক সংলাপের কথা বলে খালেদা জিয়াকে রক্ষার করার জন্য। সংলাপ কাদের সঙ্গে হয়? ফ্রান্সে পত্রিকা অফিসে যারা গুলি করেছে, তাদের গুলি করে মারা হয়েছে। কোপেনহেগেনে, অস্ট্রিয়ায়, সাউথ কোরিয়ায় সন্ত্রাসীরা যা করেছে, তাদের সঙ্গে একই আচরণ করা হয়েছে। সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনোদিন কোনো দেশ আপস করে না। আমরাও করব না।’
তিনি বলেন, ‘একজন ছাত্রনেতা টকশোতে দামি দামি কথা বলেছেন। এখন ধরা পড়েছেন। সেই মান্না খালেদা জিয়ার রাজনীতি পরিষ্কার করে দিয়েছেন ‘
আইন তার গতিতে চলবে উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, ‘খালেদা মামলার আসামি হয়েছেন, আরে আমিও তো আসামি হয়েছিলাম।’
হরতাল-অবরোধে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আজকে শুক্রবারেও ট্রাফিক জ্যাম। অবরোধ কি হচ্ছে? সবকিছু স্বাভাবিক। হ্যাঁ আমি বাণিজ্যমন্ত্রী, আমার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের কথা হয়। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, “আমি ‘তোফায়েল আহমেদ’ হয়েছি এই ছাত্রলীগ দিয়ে। ছাত্রলীগের ভালো দেখলে গর্বে মন ভরে ওঠে। খারাপ দেখলে দুঃখে ভারাক্রান্ত হই। অনেকে ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে ছাত্রলীগের ক্ষতি করে। আমি বিশ্বাস করি ছাত্রলীগের নেতৃত্ব এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।”
নিজের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট থানায় আমাকে কীভাবে রেখেছে, এখনও মনে আছে। রাজনীতি কি কঠিন? মুজাহিদের গাড়িতে পতাকা, আমার হাতে হাতকড়া। এটা করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।’
তোফায়েল বলেন, ‘ছাত্রলীগের সঙ্গের অনেক স্মৃতি। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময়ে শেখ মুজিবের বক্তৃতা শুনি। সেখান থেকেই প্রতিজ্ঞা করলাম, যদি রাজনীতি করি এই নেতার রাজনীতি করব।’
তিনি বলেন, ‘আজকে অনেকে রাজনীতি করে হঠাৎ করে এসে। আমি যখন ৩য় বর্ষে পড়ি আমু (আমির হোসেন আমু) ভাইয়েরা ভিপি নমিনেশন দিতে চাইল। রাজি হইনি। আমাদের জীবনটা এমন।’
তোফায়েল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে আমরা রফিক, সালাম, বরকতদের স্মরণ করি। একই অবদানের জন্যে আমাদের স্মরণ করতে হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনাকে।’
ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগেরর সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আনিসুর রহমান, উত্তরের সভাপতি রবিউল ইসলাম সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই