‘দায়ী তিন বাসের মালিক, চালক ও হেলপার’
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নাটোরের সড়ক দুর্ঘটনার জন্য প্রকৃত দোষী ব্যক্তিরা হলেন অথৈ, কেয়া ও হানিফ পরিবহণের মালিক, চালক ও হেলপার। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ১৭টি সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী কেয়া পরিবহণের চালকের দ্রুত গতিতে ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো এবং বিপরীত দিক থেকে আগত যানবাহনের গতিবিধি ও দূরত্ব বিবেচনা না করে একটি ট্রাককে অতিক্রম করার চেষ্টা দুর্ঘটনার মূল কারণ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত সোমবার বড়াইগ্রামে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী কেয়া পরিবহনের বাসটির সঙ্গে নাটোর শহর থেকে গুরুদাসপুরমুখী অথৈ পরিবহণের বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার দিনই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই তাদের প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বাসের সংঘর্ষের পর আহত যাত্রীরা যখন রাস্তায় পড়েছিলেন, তাদের চাপা দিয়েই হানিফ পরিবহণের একটি বাস দ্রুত গতিতে চলে যায়। এতে হতাহতের সংখ্যা আরো বেড়ে যায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কেয়া পরিবহণের বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুট পারমিট হালনাগাদ ছিল না। আর অথৈ পরিবহণের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ভুয়া। নিয়ম ভেঙে তারা ছাদে ৪৪ থেকে ৪৬ জন যাত্রী তুলেছিল। হানিফ পরিবহণের একটি বাস রাস্তায় থাকা যাত্রীদের চাপা দেয় বলে তদন্ত কমিটি জানতে পারলেও ওই বাসটি এবং তার চালককে শনাক্ত করা যায়নি। এ বিষয়ে এখনো অনুসন্ধান চলছে বলে মন্ত্রী জানান।
মন্তব্য চালু নেই