দারুণ দরকারি এই জিনিসগুলো আবিষ্কার করলো কে?
দৈনন্দিন কত জিনিসের ব্যবহার আমাদের জীবনকে আরও সহজ করেছে। চুল আঁচড়াতে চিরুনি, নখ কাটতে নেইলকাটার, কাপড় আটকানোসহ কত নানান দরকারি কাজে সেফটিপিনসহ এমন আরও অনেক জিনিস আমরা নিত্য ব্যবহার করছি। কোথা থেকে এল এসব? কে প্রথম ব্যবহার করেছিল? তার চেয়েও বড় কথা, এত সহজে এই উপায়ে যে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করা যায় তার আইডিয়াটা এল কার মাথায়? আসুন জেনে নিই জানা-অজানা কয়েকটি তথ্য।
সেফটিপিন
দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় একটি জিনিস সেফটিপিন। শাড়ি পরবেন? ভাবাই যায় না সেফটিপিন ছাড়া। বাচ্চার ডায়পার আটকানো, কামিজের সাথে ওড়না সেট করা, ছিঁড়ে যাওয়া ব্যাগের বেল্ট আপাতত আটকানো থেকে শুরু করে সেফটিপিন অনেক বিপদে সবচেয়ে সহায়ক অনুষঙ্গ এই সেফটিপিন কবে আবিষ্কার হল? কিভাবে এল এমন চমৎকার একটি বুদ্ধি? ওয়াল্টার হান্ট এই সেফটিপিন আবিষ্কারক। নিত্য নতুন ছোট ছোট জিনিস আবিষ্কার করতে পছন্দ করতেন তিনি। প্রথম পিনটি ছিল ৮ ইঞ্চি লম্বা একটি তারের। ওয়াল্টার এর স্বত্ত্ব ৪০০ ডলারে বিক্রী করেছিলেন। প্রথম পিনটি আজ থেকে বহু বছর আগে ১৪ শতকে প্রথম ব্যবহার হয়। তখন এর নাম ছিল ফিবুলি।
চিরুনি
রোজ চুল আঁচড়াতে ছেলে-মেয়ে, ছোট-বড় চিরুনি না হলে কি কারো চলে? এই চিরুনীও তো একদিন কেউ না কেউ আবিষ্কার করেছে। অগোছালো একমাথা কেশ বিন্যাস করে গুছিয়ে একটি খোঁপায় এনেছে এই চিরুনি। অবাক করা হল মানুষ এর প্রয়োজন এত আগে অনুভব করেছে যে প্রথম কে আগুন জ্বালিয়েছিল তা যেমন জানা যায় না, তেমনি চিরুনি কে আবিষ্কার করেছিল জানা যায় না সেটিও। সবচেয়ে প্রাচীন চিরুনিটি ৫০০০ বছর আগের পারস্য সভ্যতায় পাওয়া যায়। ইজিপশিয়ানরা চিরুনিকে বাঁকানো আকৃতি দেন তাদের সংস্কৃতির সাথে মিলিয়ে। চীনে চিরুনি ছিল চুল সাজানোর অনুষঙ্গ, যা আভিজাত্যেরও পরিচায়ক ছিল। বর্তমানে, চুলের দৈর্ঘ্য ইত্যাদি অনুসারে ব্যবহারের জন্য ১০০ টিরও বেশি ডিজাইনের চিরুনি পাওয়া যায়।
নেইলকাটার
নেইলকাটারের আবিষ্কারক কে ছিলে জানা যায় নি এখনো। তবে প্রাচীন অদ্ভুত সব নেইলকাটারের সন্ধান পাও্যা যায় ইতিহাসে। সবচেয়ে প্রাচীন নেইলকাটারটি ছিল লম্বা এবং ভারী লোহার তৈরি এবং চাপ প্রয়োগ করে ব্যবহার করতে হত। ডিজাইনটি তেমন বদলানো না হলেও আকারে ছোট আর হালকা এখন আধুনিক নেইলকাটার। সাথে যোগ করা হয়েছে নখের যত্নের কিছু অনুষঙ্গও। আবিষ্কারক না পাওয়া গেলেও এর প্রথম পেটেন্ট স্বত্বাধিকারীর পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি আমেরিকার ভ্যালেন্টাইন ফগার্টি, ১৮৭৫ সালে পেটেন্ট নেন। ডিজাইনের কিছু পরিবর্তন এবং সহজ ব্যবহার্য রুপে আনার কারণে প্যাটেন্ট পান ১৮৭৬ সালে উইলিয়াম এডজ। পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন পরিবর্তন সাপেক্ষে নেইলকাটারের ডিজাইনের স্বত্ত্ব নেন আরও অনেক আবিষ্কারক।
মন্তব্য চালু নেই