দলের প্রয়োজনে বোলিং করতেও প্রস্তুত মুশফিক

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্টে সেঞ্চুরি করে যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন; তেমনি উইকেটের পেছনে সহজ মিস করে নিন্দাও কুড়িয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। তাই শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন-এবারও কি কিপিং করছেন মুশফিক?

রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন মুশফিক। উইকেটকিপিং কি এবারও করবেন? উইকেটকিপিং না ব্যাটিং কোনটা বেশি উপভোগ করেন? দুইটা একত্রে করলে পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ে কিনা?

প্রশ্নটা শুনে একটু হেসেই ফেলেন মুশফিক। হাসতে হাসতে নিছক মজা করেই বলেন, ‘আমার তো বোলিংও করতে ইচ্ছে করে। এতে যদি দলের উপকার হয়!’

তবে এর পড়েই যথারীতি সিরিয়াস মুশফিক। বলেন, ‘আমি ইচ্ছে করলেই তো সব কিছু হবে না। মেইন ব্যাপার হলো, আমার যে দায়িত্ব আছে তা পালন করার। কোচ আছে, ম্যানেজমেন্ট এবং বোর্ড আছে, তারা ডিসিশন নেবেন আমি কী করবো।’

গত এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেছেন মুশফিক। সে উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘গত বছর যে এশিয়া কাপ হয়েছে, সেখানে আমি কিপিং করিনি, শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই তিনটা ম্যাচ খেলেছি। এটা কিন্তু ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। এখনও ম্যানেজমেন্টই সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি ব্যক্তিগতভাবে বলতে বলা হয়, ‘আমি ব্যাটিং ও কিপিং দুইটাই উপভোগ করি। আমার ইচ্ছেও করে।’

উইকেটের পেছনে মিস করছেন? এমন প্রশের জবাবেও মুশফিক ছিলেন স্বাভাবিক। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বলেন, ‘পৃথিবীতে এমন কোনো কিপার নেই, যাদের ভুল হয় না। আমার দেখা সেরা কিপার হলো সাহা (ঋদ্ধিমান)। আমি ওকে অনেক কিছুতে ফলো করার চেষ্টা করি। কারণ তার সব কিছুই অনেক পরিষ্কার। সেও কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যাচ মিস করেছে। আমাদের বিপক্ষেও কিন্তু সে রিয়াদ ভাইয়ের ক্যাচ মিস করেছে। এখন রিয়াদ ভাই যদি টেস্টটা ড্র করে ফিরতো, তখন কিন্তু সিনারিও অন্য রকম হতো।’

তবে নিজের কাজটা শতভাগ সততা দিয়েই করেন মুশফিক। মাঠে এবং মাঠের বাইরে তার সততা এবং নিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না চরম শত্রুও। উইকেটের পেছনে ভুলের কথা মানছেন মুশফিকও। তবে সেটা স্বাভাবিক ভুল হিসেবেই মেনে নিচ্ছেন দেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান।

‘আমরা সব সময়ই সজাগ থাকি। তারপরও অনেক সময় ভুল হয়ে যায়। যদিও আমাদের চেষ্টাটা একই রকম থাকে। সেজন্যই জাতীয় দলে আসা। ক্রিকেট আমাদের রুটি-রুজির উপায়। এখানে বেঈমানি করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সব সময় সব কিছু ঠিক রাখার চেষ্টা করি। তারপরও আমরা মানুষ, ভুল হয়ে যায়। হতেই পারে।’



মন্তব্য চালু নেই