দলের চাহিদা পূরণ করতে পারিনি- রাজ্জাক
সদ্য এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল নৈপুণ্য দেখাতে না পারলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্য দিয়ে আবারও ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যস্ততার পর দুই সপ্তাহ বিশ্রাম শেষে আবারও মাঠে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। বিশ্রামের দিনগুলো ও ভারত সিরিজের প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার সাংবাদিকদের অনেক কথা বলেছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তার কথাগুলো তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন: সরোয়ার ইমরানের কোচিং কেমন লাগছে?
রাজ্জাক: অবশ্যই ইমরান স্যারের তত্ত্ব আমার পছন্দ হয়। তিনি যেভাবে প্র্যাকটিস করান তা আমার পছন্দ হয়। সব বিভাগে যেটা করলে বেশি উন্নতি হয় তিনি চেষ্টা করেন সেটাই করানোর। প্র্যাকটিস বেশি করান তিনি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং হোক, জিম, রানিং হোক, যাই হোক উনার কথা হচ্ছে, বেশি করতে হবে। বেশি করলে উন্নতি হবে। ভালোভাবে করতে হবে। আমার ভালো লাগে।
প্রশ্ন: ব্যর্থতার কারণে সমালোচনা হয় সেটা কিভাবে দেখেন?
রাজ্জাক: মূল যে কথাটা বলবো, ভালো কোনো স্থানে টিকে থাকতে চাইলে আপনাকে সমালোচনা মেনে নিতেই হবে। কারণ যখন ভালো হয় তখন সবাই ভালো বলে। যখন একটু খারাপ হয় তখন সবাই সমালোচনা করে। এটাই স্বাভাবিক বিষয়। আমার টার্গেট থাকবে যেটা যে, এটাকে ব্যক্তিগতভাবে না নেওয়া। আমার কাজ থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেমন খেলার, মানে আগে যেমন হয়েছে সেভাবে খেলার। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলা। আমি এতটুকুই চাই যে, দলের যেটুকু চাহিদা সেটুকু যেন পূরণ করতে পারি।’
প্রশ্ন: ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতার কারণে স্পিনারদের বল করা কঠিন হয়ে পড়েছে কিনা?
রাজ্জাক: অবশ্যই সাকলাইন যেটা বলছে সেটা ঠিক আছে। এখন স্পিনারদের কাজ অনেক কঠিন হয়ে গেছে। কারণ দুই জন ফিল্ডার বাইরে থাকে। এটা আসলেই খুব কঠিন। পেস বোলারদের তারপরও দুইটা বাউন্সার থাকে। এটা অজুহাত দেখিয়ে লাভ নাই। যে নিয়ম করা হয়েছে সেভাবে খেলতে হবে। এখানে কীভাবে ভালো করতে হবে সেটার চেষ্টাই করা উচিত। চেষ্টা করবো যেন সেটা ভালো হয়।’
প্রশ্ন: ব্যর্থতা থেকে নিজেকে কামব্যাক করার প্রস্তুতি কতটা?
রাজ্জাক: আসলে সত্যি কথা বলতে, পরিসংখ্যানের কথা বলতে ভালো লাগে না। বলবও না। কামব্যাক বুঝি না। আমার কথা হচ্ছে, যখন খেলবো ভালো খেলার চেষ্টা করবো। দলের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করবো। আমি সবসময় চেষ্টা করি। কখনও কখনও হয়। কখনও সাফল্য আসে না।’
প্রশ্ন: বিশ্রামে কি করেছেন, কিভাবে সময় পার করেছে?
রাজ্জাক: সাত দিন বাড়িতে ছিলাম। ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করিনি। বাড়িতে ঘুম, খাওয়া ও বিশ্রামের মধ্যেই ছিলাম। কারণ বিশ্রামও তো নেওয়ার দরকার আছে। না হয় কাজ করবো কিভাবে।’
প্রশ্ন: নতুন ফিল্ডিং নিয়ম আপনার ভাবনা কি?
রাজ্জাক: যখন যেটা নতুন আসে আসলে সেটাই কঠিন। এটা সত্যি কথা। অবশ্য আস্তে আস্তে সেটার উপায় বের হয়ে যায়। হয়তো এটাতে একটু সময় লাগছে। উপায় বের হবে। এটা মানতে হবে নিয়মটা কঠিন। খেলতে হবে, ভালো করতে হবে।’
প্রশ্ন: সোহাগ গাজীর পারফরম্যান্সের অবস্থা নিয়ে কি বলবেন?
রাজ্জাক: খারাপ, ভালো সময় আসবেই। এটা পজেটিভলি নিতে হবে। নেগেটিভলি নেওয়া যাবে না। আসলে মানুষ অনেক কথাই বলবে, এটা আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না।’
মন্তব্য চালু নেই