দক্ষিণ তালপট্টি নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই : মতিয়া চৌধুরী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ যেখানে বাস্তবে নেই সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোরও কিছু নেই। এ নিয়ে বিএনপি মায়া কান্না কাঁদছে।
বুধবার বিকেল রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমুদ্র বিজয় উপলক্ষে আনন্দ মিছিল পূর্ব এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইনি লড়ায়ের মাধ্যমে আমাদের দাবি বুঝে পেয়েছি। এটা ঢাল তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধের মাধ্যমে পাইনি। জয়তু শেখ হাসিনা জয়তু বাংলাদেশ।’
এসময় তিনি বিএনপির সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর হাফিজ উদ্দিনের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, নৌকা ছিল বলেই এই রায় বাংলাদেশের পক্ষে গিয়েছে নয়তো এটা কখনো সম্ভব হতো না।’
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ২০০১ সালের পরে ক্ষমতায় ছিল। তত্বাবধায়ক সরকার ছিল। কিন্তু তারা এই সমুদ্রসীমা নিয়ে কোন মাথা ঘামায়নি। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মামলা করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার রায় বাংলাদেশের পক্ষে আসে। দ্বিতীয়বার ভারতের সঙ্গেও বাংলাদেশের পক্ষে আসে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ‘ভারতে গিয়ে ভোলা ধানের ভাত খান বলে সেখানে গিয়ে তার (খালেদা) আর কোন কথা মনে থাকে না। যে কারণে গঙ্গার পানি চুক্তির কথাও তার মনে থাকে না।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশের পর সমুদ্র বিজয় উপলক্ষে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে জিপিও পল্টন হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এসে শেষ হয়। এর আগে যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বেও একটি আনন্দ মিছিল বের হয়।
মন্তব্য চালু নেই