দক্ষিণ আফ্রিকার অনন্য কীর্তি

একটা সময় ওয়ানডেতে ৩০০ রান তাড়া করেই জেতাই ছিল বেশ কঠিন ব্যাপার। আর ৪০০ রান সংগ্রহ করাটা তো ছিল অনেকটাই অসাধ্য।

তবে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া সেই অসাধ্যটাই সাধন করে ফেলে। ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো ৪০০ রানের কোটা পূরণ করে অনন্য নজির স্থাপন করেন তারা। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ৪৩৪ রান সংগ্রহ করে। কিন্তু ক্রিকেটবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে সে ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়েন প্রোটিয়ারা। ১ উইকেট ও ১ বল হাতে রেখে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

তখন থেকে ওয়ানডেতে ৪০০ রান করাটা যেন ছেলেখেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে! যে খেলায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ওই দক্ষিণ আফ্রিকাই। ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত ৪০০ রানের কোটা পূরণ করার ঘটনা ঘটেছে মোট ১৪ বার। যার মধ্যে পাঁচবারই কীর্তিটি গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সংখ্যাটা ছয় হতে পারতো। কিন্তু ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৯৯ রান করে প্রোটিয়ারা।

এদিকে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সমান পাঁচবার ৪০০ রানের কোটা পূরণ করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। তবে এক দিক থেকে সবার চেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা টানা দুই ওয়ানডেতে ৪০০ রানের কোটা পূরণ করেছে। ওয়ানডে ইতিহাসে এমন রেকর্ড আর কোনো দলেরই নেই!

সবশেষ মঙ্গলবার ক্যানবেরায় বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৪১১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগের ম্যাচে ওয়েস্ট বিপক্ষে প্রোটিয়ারা করে ৫ উইকেটে ৪০৮ রান।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এ বছরই ওয়ানডেতে তিনবার ৪০০ রানের কোটা পূরণ করার কৃতিত্ব দেখাল দক্ষিণ আফ্রিকা। যার দুবারই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। দুই ম্যাচেই অনন্য রেকর্ড গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স।

গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৪৩৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচে ওয়ানডের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন ডি ভিলিয়ার্স। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওয়ানডের দ্রুততম দেড়’শ রানের কীর্তিও গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক।

ওয়ানডের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ডটি দখলে রেখেছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৬ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৪৪৩ রান সংগ্রহ করেন লঙ্কানরা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানটি দক্ষিণ আফ্রিকার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩৯/২ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৩৮/৯।

তথ্যসূত্র : ক্রিকইনফো



মন্তব্য চালু নেই