থানায় না-গেলে আজকের মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে পাওয়াই যেত না!

সময়টা ছিল ২০০৭। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের চূড়ান্ত ভরাডুবি হয়। সেই বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পরে দেশে ফিরে আসেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।

আর দেশের মাটিতে পা রাখার পরেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, রাহুল দ্রাবিড়দের ত্রাসের মুখে পড়তে হয়েছিল। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ভারত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল। একমাত্র বারমুডার বিরুদ্ধেই ভারত জিতেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে মাথা নীচু করে ফেরার পরে ধোনিরা আগেই জানতেন, দেশি সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হবে তাঁদের।

দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখার পরে ক্ষুব্ধ সমর্থকদের হাত থেকে ক্রিকেটারদের বাঁচানোর জন্য হাজির ছিল পুলিশ। ক্রিকেটারদের পুলিশের ভ্যানে তুলে দেওয়া হয়। সেই স্মৃতিরোমন্থন করে ধোনি বলছেন, ‘আমি বীরুর পাশে বসেছিলাম। গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার।’ ধোনিদের পিছনে ধাওয়া করছিল মিডিয়া। সব দেখেশুনে ধোনিদের সেই সময়ে মনে হয়েছিল, তাঁরা বুঝি সন্ত্রাসবাদী।

পুলিশের গাড়িতে করে কিছুদূর যাওয়ার পরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের। সেই থানায় কিছুক্ষণ বসে থাকার পরে ক্রিকেটাররা যে যাঁর গাড়িতে করে চলে যান। সেই ঘটনা ধোনিকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। এবং সেই দিনই ধোনি শপথ করেছিলেন, আরও ভাল ক্রিকেটার হতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের চার বছর বাদের বিশ্বকাপেই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। ধোনি ছিলেন অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধ্যায়ের পরে ধোনিকে থানায় যেতে না-হলে ২০১১-য় ভারত হয়তো বিশ্বচ্যাম্পিয়নই হত না। ধোনিকেও অন্যতম সেরা অধিনায়ক হিসেবে পাওয়া যেত না।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই