থানার লক আপে বাড়ির খাবার খেতে অস্বীকার করেছিলেন সালমান

২০০২-এর গাড়ি চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সালমান খান। দীর্ঘ ১৩ বছরে অনেকটাই বদলেছেন বলিউডের এই ম্যাচো হিরো। যুক্ত হয়েছেন একাধিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডে। প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের ছেলে সালমান বিইং হিউম্যান নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে মানব সেবামূলক কাজকর্মে মনোনিবেশ করেন তিনি। ক্রমে ব্যাড বয়ের ইমেজ ভেঙে বেরোনোর চেষ্টা শুরু করেন তিনি।

সালমান খান ফাউন্ডেশনের এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মহারাষ্ট্র ও অন্যান্য রাজ্যের প্রায় ১০০ টি গ্রামকে উন্নয়নের জন্য বেছে নিয়েছে। শিশুদের চিকিত্সার জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০০২-এর ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে সালমানের গাড়ি বান্দ্রার একটি বেকারির সামনে ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তিদের ধাক্কা দেয়। এই ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কয়েকটা দিন জেলেই কাটাতে হয় তাঁকে। বান্দ্রার থানার লক আপে থাকার সময় বাড়ি থেকে আনা খাবার খেতে অস্বীকার করেছিলেন সলমন। বাড়ি থেকে আনা টিফিন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সমস্ত বন্দীদের যে খাবার দেওয়া হয় তাই-ই খেয়েছিলেন সালমান। পুলিশ সূত্রেই এ খবর জানা গেছে।

এমনকি, বাড়ি থেকে আনা চা-ও তিনি ফিরিয়ে দেন। জেলের চা-ই তৃপ্তি সহকারেই খেতেন তিনি। ছিঁচকে অপরাধীদের সঙ্গে একই সেলে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। কয়েকদিন পরই অবশ্য জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি।

২০০২-এ একটি জনস্বার্থ সংক্রান্ত আর্জির ভিত্তিতে বম্বে হাইকোর্ট সালমানকে দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ও গুরুতপ জখমদের ৩ লক্ষ টাকা ও অন্য আহতদের দেড় লক্ষ টাকা অন্তর্বর্তী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সলমন ওই অর্থ আদালতে জমা দিয়েছিলেন।

এই মামলার বিচার চলাকালে বলিউডে তাঁর কেরিয়ারে অনেক ওঠাপড়া দেখা গিয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন কিন্তু সর্বদাই সংবাদমাধ্যম ও অনুরাগীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।



মন্তব্য চালু নেই