থানার ভেতর যুবককে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন!
থানার ভেতর দু’পায়ের মাঝে গরান কাঠ দিয়ে পিঠ মোড়া করে উল্টো ঝুলিয়ে পেটানো হলো যুবককে। নির্যাতনের এই দৃশ্য দেখে স্বজনরা ঘুষ দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেন আবু সাঈদকে। বুধবার রাতে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবু সাঈদ যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের মাদক বিক্রেতা নুরুল হকের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাঈদকে বুধবার রাতে আটক করেন যশোর কোতোয়ালী থানার সিভিল টিমের এসআই নাজমুল ও এএসআই হাদিবুর রহমান। পরে তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন ওই দুই কর্মকর্তা। ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় আবু সাঈদকে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে থানার মধ্যে দুই টেবিলের মাঝে গরান কাঠ দিয়ে উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সে ওই রাতেই ছাড়া পায় সাঈদ।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তিনি এসআই নাহিয়ানের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। পরে যোগাযোগ করা হলে এসআই নাহিয়ান ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসআই নাজমুল ও এএসআই হাদিবুর রহমান ওই যুবককে আটক করে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে থানার ভেতরে ঝুলিয়ে পেটানো হয়েছে।
এদিকে অপর অভিযুক্ত এএসআই হাদিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।’
কী অভিযোগে ওই যুবককে আটক করা হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হচ্ছে না। তবে সব পুলিশ কর্মকর্তা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে বিভিন্ন মহলে সুপারিশ করতে ব্যস্ত রয়েছেন।
অপরদিকে, নির্যাতিত আবু সাঈদের এক স্বজন মুঠোফোনে জানিয়েছেন, আবু সাঈদের নামে মামলা রয়েছে। তবে সব মামলায় জামিনে আছেন। বুধবার রাতে বিনা অপরাধে তাকে আটক করা হয়। ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মন্তব্য চালু নেই